নিজস্ব সংবাদদাতা : সম্প্রতি গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা কলেজে 'ইন্টার্নশিপ প্র্যাকটিক্যাল' পরীক্ষা দিয়েছেন স্নাতকস্তরের চতুর্থ সিমেস্টারের (দ্বিতীয় বর্ষের) ছাত্রছাত্রীরা। সেই পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তোলেন কলেজেরই কয়েকজন শিক্ষক। এই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পরীক্ষক হিসেবে স্থানীয় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হাজির ছিলেন বলে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। যদিও সুবর্ণরেখা কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজ দত্তের দাবি, "নিয়ম বহির্ভূত কিছু হয়নি। পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।"লক্ষীন্দর পালোই, পরিমল হাঁসদা, অরুণাভ প্রহরাজ প্রমুখ কলেজ শিক্ষকের দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, 'পরীক্ষার জন্য যে এক্সটার্নাল এক্সামিনার উপস্থিত হয়েছিলেন, তিনি কোনও ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত যোগ্য পরীক্ষক নন। তিনি স্থানীয় এলাকার একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।' প্রশ্ন তোলা হয়েছে, 'একজন ক্যাস্যুয়াল ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কী ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার এক্সটার্নাল এক্সামিনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।' অভিযোগকারী শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, পরে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের থেকে জেনেছেন, কোনও 'ভাইভা' (মৌখিক পরীক্ষা) ছাড়াই, শুধুমাত্র উপস্থিতি নথিভুক্ত করে পরীক্ষাটি শেষ করা হয়েছে। গোটা পরীক্ষাটি কলেজের কয়েকজন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকর্মী পরিচালনা করেছেন। ২৯ অক্টোবর পরীক্ষা হয়েছিল, ২৮ নভেম্বর পোর্টালে নম্বর তোলার শেষ দিনে ওই শিক্ষাকর্মীরাই খেয়াল খুশি মতো প্র্যাকটিক্যালের নম্বর পোর্টালে আপলোড করেছেন।অভিযোগপত্রে আরও লেখা রয়েছে, 'এই ধরনের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পরীক্ষক হিসেবে স্থানীয় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হাজির ছিলেন বলে অভিযোগ জমা পড়ে। তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি কলেজের কিছু শিক্ষক আমার সম্মানহানি ও মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এবং এ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা উপহাস করছে।