ঝাড়গ্রাম, নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় শুরু হচ্ছে ‘জয় জোহার’ মেলা। ‘জয় জোহার মেলা’র আয়োজনের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধীনে থাকা ব্লকগুলিতে। সরকারি সূত্রে খবর, ১৫টি জেলার মোট ১০২টি ব্লকে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে বিগত ১১ বছরে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কী কী করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা তুলে ধরা হচ্ছে। প্রচার করা হবে আদিবাসীদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার কোন কোন প্রকল্প চালু করেছে। এমনকি বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে সেই সব প্রকল্পের সুবিধা পেতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ জনকে কী করতে হবে। উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনের মানুষজন থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক করেছেন নবান্নে। বৈঠকে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার পর্যটন কেন্দ্র গুলির উন্নয়ন করার কথা বলেছেন। সেই আলোচনার পরই বুধবার ও আগামী কাল বৃহস্পতিবার দু’দিন ধরে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি, লালগড়, জামবনি, সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর-১, গোপীবল্লভপুর-২, নয়াগ্রাম ও ঝাড়গ্রাম ব্লকে মেলা হবে। শুধুমাত্র ঝাড়গ্রাম জেলার ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। ডাকা হয়েছে আদিবাসী সমাজের মানুষজনকে। বিতরণ করা হবে চাষিদের চাষের জন্য নানা জিনিসপত্র,গবাদি পশুর জন্য খাবার। বসবে প্রাণী সম্পদ দফতরের স্টল, পোস্ট অফিসের স্টল। খোলা হবে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট। হবে পুরুষ ক্রিকেট ম্যাচ। মহিলা ফুটবল ম্যাচ। আদিবাসী ছেলেমেয়েরা ভোকেশনাল কোর্সের মাধ্যমে স্ব-নির্ভর হতে পারে তার জন্য থাকবে উৎকর্ষ বাংলার উদ্যোগে ‘কেরিয়ার কাউন্সেলিং’য়ের ব্যবস্থাও। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের জেলা আধিকারিক পার্থ দে জানান, ‘‘আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে জেলার আটটি ব্লকে জয় জোহার মেলা শুরু হয়েছে। দু’দিন ধরে চলবে। এ ছাড়াও নানা পরিষেবা বিতরণ করা হবে।’’