পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড চিরকুনডাঙ্গা এলাকায় রয়েছেন কংক্রীটের তৈরি ৪৫ ফুট উচ্চতার বিশাল আকার কালী প্রতিমা ,যা ভক্তদের কাছে 'বড়মা' নামেই পরিচিত। এবছর বড়মায়ের পুজো ২৪ বছরে পদার্পণ ।শুধু চন্দ্রকোনা নয় জেলা জুড়ে ভিন জেলা এমনকি ভিনরাজ্যের মানুষও এই কালী বড়মাকে জানে। ক্ষীরপাই এর বড়মার পুজোর অপেক্ষায় থাকে অগনিত মানুষ।পুজোর সময় স্থানীয় আশপাশের মানুষ ছাড়াও জেলা ও বিভিন্ন জেলার দুরদুরান্তের মানুষও ভিড় জমায় ক্ষীরপাই বড়মার এই কালী পুজোয়। শশ্মানকালী হলেও এপুজোয় বলি হয়না।সমস্ত রীতি মেনেই এখানে পুজো হয়।পুজোর পরের দিন হাজার হাজার মানুষ আসে মায়ের ভোগ খাওয়ার জন্য। ক্ষীরপাই পৌরসভা এক নম্বর ওয়ার্ডের চিরকুনডাঙ্গা এলাকায় ৪৫ ফুট উচ্চতার কংক্রীটের মায়ের মুর্তি রয়েছে। যা জেলা কেনো রাজ্যও এতো বড় মাপের কালী প্রতিমা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠাতা থেকে অগনিত ভক্তদের। সবার কাছেই তা ক্ষীরপাই বড়মা নামেই পরিচিত।অমবস্যা তিথি ও কালীপূজোর সময় ছাড়া বড়মায়ের মন্দিরে থাকেনা কোনও পূজারী। তিথির সময় ছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্তের অগনিত মানুষ মায়ের দর্শনে আসেন।তারা নিজেরাই নিজের মতো করে মায়ের পুজো দিতে পারে পুরোহিত ছাড়াই।ভক্তদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয় মন্দিরের পুজো আর্চনার কাজ।যে যার নিজের মতো করে পুজো দেয় বড়মাকে।আর এজন্যই প্রতিদিন অসংখ্য ভক্তের সমাগম লেগেই থাকে।বিশালাকার কালী মন্দিরের বৈশিষ্ট্য নজরকাড়ে সকলেরই। যেমন আগত ভক্তদের নিষেধ আছে কোনও রুপ দক্ষিনা না দেওয়ার ক্ষেত্রে,কোনও প্রণামী বক্সের ঠাই নেই মন্দিরে।কোনও রুপ আর্থিক সাহায্য করা বা দক্ষিনা হিসাবে কোনও পয়সা দেওয়া যাবেনা মন্দিরে তা মন্দির চত্বরে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।অনেক ভক্তের দাবী মায়ের কাছে মন থেকে কিছু চাইলে তা পুরন হবেই।বিভিন্ন রোগের নিরাময়ের জন্যও অনেকে মায়ের স্মরনাপন্ন হয় এবং অনেকের দাবী তাতে বিমুখ হয়নি কেউ।'অর্থের বিনিময়ে নয় নিজে হাতে পুজো করুন মাকে যাচাই করুন 'মন্দীরে লেখা এমনই বানী চোখে পড়বে সকলের। বিশালাকার কংক্রীটের বড় মায়ের এক হাতে রয়েছে পৃথিবী আর এক হাতে রয়েছে সাদা পায়রা,বাকি দুই হাতে কারতান ও মুন্ডচ্ছেদ। মায়ের রুদ্র রুপের পাশাপাশি,ধরিত্রীর রক্ষাকর্তা ও শান্তির বাহক হিসেবে একহাতে পৃথিবী ও অপর হাতে পায়রা রয়েছে বলে জানাযায়।কালী পুজোর দিন বড়মার মন্দির বড়মার পুজোয় বলি হয়না,তবে পাশে মাটির চালায় ছোটো মায়ের পুজোয় বলি হয়।বলির মাংস প্রসাদ হিসাবে পরদিন খেচুড়ি প্রসাদে মিশিয়ে দিয়ে ভক্তদের ভোজন করানো হয়। কয়েক হাজার দশেক ভক্ত সমাগম হয়ে থাকে বলে জানান মন্দিরে প্রতিষ্ঠাতা।সামনেই কালী পুজো,পুজোয় জাকজমক না থাকলেও ভক্তদের আরাধনায় প্রতিবছর কালী পুজো গমগম করে ক্ষীরপাইয়ের বড়মা।