নিজস্ব সংবাদদাতা : শীঘ্রই খবর পাওয়া যাচ্ছিল যে রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতে পারে বলে। তার আগেই তৃণাঙ্কুরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ডোমজুড় উৎসব মঞ্চে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থেকে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে নিশানা করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “TPCP-র এতগুলো ছেলে সাসপেন্ড হয়ে গেল, আর টিএমসিপির সভাপতির মুখ থেকে কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে যে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে?” মূলত, রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আসতে থাকে আরজি কর কাণ্ডের পর। তারপরই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থেকে অভিযুক্ত পড়ুয়ারা সাসপেন্ড হতে থাকে। এই নিয়ে টিএমসিপি সভাপতিকে আক্রমণ করেন কল্যাণ। গতকাল থেকে এই নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য না করলেও। ২৪ ঘণ্টা পার হতে এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন TPCP-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তৃণাঙ্কুর বলেন, “দল নিশ্চিতভাবে হিসাব রাখছে। বিচার করবে। দিদি আছেন, অভিষেকদা আছেন। আমি এমন কিছু বলতে চাই না, যাতে দল বদনাম হবে। আমি দলের একজন অনুগত সৈনিক। আমি চাইব, তিনি ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।” তবে ব্যাপারটি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাসপেন্ডেড হওয়া রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তী। প্রান্তিক বলেন, "তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল"।