খড়গপুর অপূর্ব মজুমদার: ১৯ শে জানুয়ারী রবিবার খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ জলযোগ এলাকাতে SFI-DYFI ও মহিলা সমিতি সদস্যরা বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে ভেজাল স্যালাইনের দেওয়ার ফলে প্রসূতির মৃত্যুর প্রতিবাদে, সমস্ত ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরকারি স্যালাইনে একের পর এক প্রসূতি অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় ৫ জনকে তড়িঘড়ি আইসিইউ এবং সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় তুমুল বিক্ষোভে দেখান পরিবার পরিজনরা। শুক্রবার সেই ৫ জন প্রসূতির মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয় এবং ৩ জন কোমায় চলে গিয়েছেন।বিক্ষোভকারী এবং অসুস্থ পরিবারের সদস্যদের ক্ষোভ, ‘‘কী আর তদন্ত হবে! তিলোত্তমা’র ঘটনায় জড়িতদের আড়াল করা হয়েছে। আর জি কর হাসপাতালে সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কর্মরত মহিলা চিকিৎসককেই ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সেই তথ্য লোপাট করে যে সরকার ও তার প্রশাসন, সেই প্রশাসন ভেজাল স্যালাইনে এক জন গরিব পরিবারের রোগীর মৃত্যুতে ন্যায় বিচার দেবে, তা আশা করা যায় না।গত বছর নভেম্বর মাসে কর্নাটকের বেল্লারি জেলা হাসপাতালে চার প্রসূতির অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তেও উঠে এসেছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর নাম। ওই হাসপাতালে ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ সরবরাহ করত পশ্চিমবঙ্গের এই সংস্থা। বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় গত মাসেই কর্নাটক সরকার কালো তালিকাভুক্ত করেছিল শিলিগুড়ির এই সংস্থাকে। এ বার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনাতেও ওই সংস্থার তৈরি করা রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের বিরূপ প্রতিক্রিয়াই দায়ী, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে চিকিৎসক মহলও।
মেদিনীপুরে সদর হাসপাতালে ভেজাল স্যালাইনে মৃত্যু, তার জন্য খড়্গপুর শহরের বিক্ষোভ কর্মসূচী!
