নিজস্ব প্রতিবেদন : বিদেশের মাটিতেও প্রবাসী বাঙালিরা মেতে ওঠেন শারদোৎসবে। কুমোরটুলি থেকে দুর্গা প্রতিমা যায় সাতসমুদ্র পেরিয়ে। গত বছরই বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। ইউনেস্কোর ইনট্যানিজবল কালচারাল হেরিটেজের মর্যাদা পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। বিদেশীরাও এবার মেতে উঠছেন দুর্গতিনাশিনীর আবাহনে। এবছর কলকাতার দুর্গাপুজোয় বিদেশীদের ছোঁয়া পাচ্ছে।কলকাতার দুর্গাপুজোয় এবার বিদেশের শিল্পীরা কাজ করবেন। সূদুর নেদারল্যান্ডস থেকে দুই ডাচ শিল্পীর ছোঁয়ায় সেজে উঠবে শহরের নামজাদা পুজোর মণ্ডপ। বেঞ্জামিন এবং মার্টিয়ানার হাতযশে বেহালার হেভিওয়েট পুজো নূতন দলের থিম ভাবনা ফুটে উঠবে। কলকাতার শিল্পীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন দুই ডাচ শিল্পী। শিল্পী বেঞ্জামিনের ভাষায়, “এই পুজো সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না। কাজ করতে করতেই থিম নিয়ে শিখব।” মূলত, তাঁরা দুজনই ভিজ্যুয়াল আর্টস নিয়ে কাজ করেন। বিভিন্ন রকম ভিজ্যুয়াল আর্টস নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি পুজোর থিমে কীভাবে সেই শিল্পকর্মকে জুড়ে দেওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা।শিল্পী মার্টিয়ানা বলেছেন, “কলকাতার দুর্গাপুজো এখন বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। এখানকার পুজো, শোভাযাত্রা, কার্নিভাল নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক কৌতূহল। সেটা চাক্ষুষ করার ইচ্ছা ছিল। পুজোর ব্যাপার বিশেষ জ্ঞান নেই। কিন্তু পুজোর কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে বেশ ভালও লাগছে আর আনন্দও হচ্ছে।”