Skip to content

কুয়েতের আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লি এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত দ্বারিকেশ পট্টনায়েক মৃতদেহ বাড়িতে এলো !

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : বুধবার কুয়েতে একটি ছয়তলার বহুতলে আগুন লাগে। আবাসনের একটি রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণ হয়। এরপরই প্রায় গোটা বিল্ডিং আগুনের গ্রাসে চলে যায়। ওই আবাসনে মূলত ভারতীয়রাই বসবাস করতেন। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জন ভারতীয়,তার মধ্যে রয়েছে একজন বাঙালিও। তিনি মেদিনীপুরের শরৎপল্লি এলাকার বাসিন্দা । দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দ্বারিকেশ পট্টনায়েক (৫২)।বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর এসে পৌঁছায় মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লি এলাকার বাড়িতে। দ্বারিকেশ পট্টনায়েক মরদেহ শনিবার সকাল ৭:৩০ নাগাদ এসে পৌঁছাল দমদম বিমানবন্দরে সূত্রের খবর। সেখান থেকে তাদের পরিবারের হাতে মরদেহ তুলে দেওয়া হয় ।মরদেহ নিয়ে মেদিনীপুর শহরে উদ্দেশ্যের বেরিয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন। সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরে শরৎপল্লীর বাড়িতে এসে পৌছায় দ্বারিকেশ পট্টনায়েকের মরদেহ। কফিন বন্দী মৃতদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছানোয় কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার পরিজনেরা। দ্বারিকেশ পট্টনায়েককে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন জানাতে উপস্থিত ছিলেন জুন মালিয়া, সুজয় হাজরা, সৌমেন খান কাউন্সিলার চন্দ্রানী দাস সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে এলাকাবাসী থেকে বিজেপির নেতা নেতৃত্ব সহ অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। বিমানবন্দরে শ্যালকের দেহ আনতে গিয়েছিলেন সায়ন্তন পট্টনায়েক ৷ তিনি বলেন, "পিতৃহারা হয়ে গেল আমার ভাগ্নি। আমি জামাইবাবুকে হারালাম। তবে এই বাড়ির সমস্ত দায়-দায়িত্ব এবং পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি, যাতে আগামিদিনে কোনওরকম অসুবিধে না হয়। যে যাবার সে তো ফিরে আসে না, তবে পাশে থাকার বার্তা দিলাম।" অন্যদিকে বিমানবন্দরে অগ্নিমিত্রা পল ও সুজিত বসু প্রমুখ নেতারা প্রত্যেকেই তাঁর মরদেহে মাল্যদান করে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে মেদিনীপুর থেকে মরদেহ ১২টা নাগাদ দ্বারিকেশ পট্টনায়েকের মরদেহ নিয়ে নিজস্ব গ্রামের বাড়ি দাঁতনের খন্ডরুই এর তুরকার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন পরিবার পরিজনেরা।

0:00
/1:33

Latest