নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার আয়োজকদের সামনেই বইমেলায় প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বলেন তিনি। মলয়ের কথায়, ‘‘মেলায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোগের মাধ্যমে সুদৃশ্য চটের ব্যাগ বিক্রি হয়, যা অনেক বেশি বইয়ের ভার বইতে পারবে। জুট কমিশনারের বক্তব্য, আনওভেন ক্যারিব্যাগ বলে প্লাস্টিক গোত্রের ব্যাগ ব্যবহারও বিপজ্জনক। কারণ, প্লাস্টিক আদতে ১০ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনাশহীন অজৈব পদার্থ হিসাবে টিকে থেকে দূষণ ঘটায়। বইমেলার আয়োজক, প্রকাশক ও বই বিক্রেতা গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে অবশ্য বলছেন, ‘‘স্টলের আবেদনের ফর্মে পর্যন্ত আমরা প্রকাশকদের প্লাস্টিক ব্যবহারে স্পষ্ট বারণ করে দিই। তবে এটা ঠিকই, সব প্রকাশকই যে কথা শোনেন, তা নয়।’’ গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, ‘‘অনেকে প্লাস্টিক ব্যবহার করেন, যা ১২০ মাইক্রনের বেশি হয়। সেটা নিষিদ্ধ নয়।’’ ১২০ মাইক্রনের বেশি পুরু প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার খানিক সহজ। তবে তা-ও প্রকৃতির সঙ্গে মেশে না বলেই সতর্ক করেন পরিবেশবিদেরা। জুট কমিশনার বলেন, ‘‘চটের ব্যাগ ব্যবহার করে ক্রমশ প্লাস্টিকমুক্ত মেলার রূপায়ণই লক্ষ্য হোক। এটা বলব, বিভিন্ন স্টলে চটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ছে। চটের ব্যাগ বিক্রি ১০-১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে।’