পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মহালয়া ভোরের প্রথম আলো ফুটতেই বাঙালির মনে জেগে ওঠে এক বিশেষ আবেগ। পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবীপক্ষের সূচনাকে কেন্দ্র করে এই দিন শুধু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নয়, সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়ে এ বছর মহালয়ার দিনে মেদিনীপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দনগর সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত হলো প্রথম বর্ষ রক্তদান শিবির। সকাল থেকেই শিবির প্রাঙ্গণে জমে ওঠে উৎসবের আবহ।

ভক্তি ও মানবসেবার মেলবন্ধনে তৈরি হয় এক ভিন্ন পরিবেশ। যুব সমাজ থেকে প্রবীণ, সকলে এগিয়ে আসেন রক্তদান করতে। বিশেষভাবে চোখে পড়ে মহিলাদের অংশগ্রহণ। মোট ৫৯ জন রক্তদাতা এই শিবিরে রক্তদান করেন, যাদের মধ্যে একাধিক মহিলা ছিলেন।

সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিটি রক্তদাতা ও অতিথিকে স্মারক হিসেবে উপহার দেওয়া হয় পবিত্র গীতা ও তুলসী গাছ। শুধু রক্তদান নয়, এই প্রতীকী উপহারও ছড়িয়ে দেয় সামাজিক বার্তা— ভক্তি, পরিবেশ ও মানবতার সুরক্ষার কথা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সম্মানীয় সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল কুমার মন্ডল, সম্পাদক দীপঙ্কর দে, স্বরূপ পড়িয়া, বিশ্বজিৎ সরকার প্রমুখ। শিবিরের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ডাক্তার শংকর গুছাইত।মহালয়ার ভোরে দেবীপক্ষের সূচনা যেমন এক নতুন আশার বার্তা দেয়, তেমনই আনন্দনগর সমন্বয় সমিতির এই রক্তদান শিবির প্রমাণ করল— সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মানবসেবার মাধ্যমেও শুভক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখা যায়।