Skip to content

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তরসত্তা মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন?

1 min read

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তরসত্তা মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন! মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে আসছে তদন্ত কমিটির সদস্যরা। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে গঠন করা হলো উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। আজই কলকাতা থেকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে আসছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার এর সাথে বৈঠক করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমো শংকর সারেঙ্গী।সোমবার আইসিইউ, সিসিইউ ওয়ার্ডের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিজনেরা। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে দুই সদস্যের প্রতিনিধি। হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।মৃতার নাম শিখা দে দাস (৩২)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার নাহাপার গ্রামে।

শিখার স্বামী পবিত্র দাস জানান, নয় মাসের প্রসূতি ছিলেন স্ত্রী। রবিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পবিত্রের কথায়, ‘‘শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল ওর। জরুরি বিভাগে দেখানোর পর ‘মাতৃমা বিভাগে’ (প্রসূতি বিভাগ) নিয়ে যাওয়া হয় শিখাকে। সেখান থেকে আবার মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু জ্বর আর কাশি সারানোর ওষুধ দেওয়া হয়। তখনও বড় টিকিট করা হয়নি।’’ তিনি জানান, এর পর রাতে জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে নিয়ে যান স্ত্রীকে। রাত ৩টে নাগাদ আবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় স্ত্রীর।

আবার জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আবার ‘মাতৃমা বিভাগে’ পাঠিয়ে দেয়।এর মধ্যে রোগিণীর শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। ভোর ৫টা নাগাদ আইসিইউ, সিসিইউতে পাঠানো হয় তাঁকে। সোমবার ভোর ৬টা নাগাদ মারা যান শিখা।
সূত্রের খবর, গতকাল ঠিক যেই সময় ওই অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেই সময় প্রটোকল মেনে চিকিৎসা করানো হয়েছিল কিনা। হাসপাতালে ভর্তি নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা চিকিৎসক অস্বীকার করেছিলেন কিনা এই সমস্ত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে।

Latest