পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : রক্তের চাহিদা লেগেই থাকে। দিনের পর দিন তাপমাত্রা যত বাড়ছে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের সংকট দেখা দিচ্ছে। মুমূর্ষ রোগীকে বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন। রোগীর আত্মীয়দের সেই রক্ত নেওয়ার জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে অনেক সময় ফিরে যেতে হয়। কারণ রক্তের চাহিদা অনুযায়ী ব্লাড ব্যাঙ্কে যোগান কম থাকে এই গ্রীষ্মের সময়।সেই কারণে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকেন।শুধু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়ী নয়,পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আর এই রক্ত সংকট মেটাতে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির এই প্রথম মেদিনীপুর শরৎ স্মৃতি প্রথমা সংঘ আয়োজন করে। সহযোগিতা মেদিনীপুর জেলা ভলেন্টারী ব্লাড ডোনার ফোরাম।এইবার স্বেচ্ছায় এক রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেল সম্পূর্ণভাবে মহিলা পরিচালিত মেদিনীপুর শরৎ স্মৃতি প্রথমা সংঘ পক্ষ থেকে।এই দিনের শিবিরে মোট ৫০ জন রক্তদাতা রক্ত দান করে। ৩০ জন মহিলা ও ২০ পুরুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।মহিলা পরিচালিত এই সামাজিক উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই এই মহান কাজের জন্য খুশি সকল মেদিনীপুর বাসী। শিবিরে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা, কাউন্সিলের গোপাল ভট্টাচার্য, সমাজসেবী অনুপ সিং, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।ব্লাড ডোনারর্স ফোরামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অসীম ধর,ধৃতিরঞ্জন রায়, মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত,প্রবীর কুমার লায়েক, প্রতিমা রানা,আসেকুল রহমান, গোলাম নবি,রানা প্রতাপ সেন প্রমুখ।প্রথমা সংঘের পক্ষে সম্পাদিকা অনিমা মাইতি, সভানেত্রী বুলু ঘোষ সহ সমস্ত সদস্যারা উপস্থিত ছিলেন।ছিলেন প্রথমা সংঘের শুভানুধ্যায়ীরা। রক্ত সংগ্রহ করেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্লাড সেন্টার কর্তৃপক্ষ। শিবির সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় রক্তদাতাগণ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিবিরের অন্যতম সমন্বায়ক শিক্ষক ধৃতিরঞ্জন রায়। উল্লেখ্য ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত কেবল মাত্র মহিলার নিয়ে গঠিত এই সংগঠন নানা সমাজসেবা মূলক কর্মসূচি রূপায়ণ করে থাকে।
মেদিনীপুর শরৎ স্মৃতি প্রথমা স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে রক্তদান শিবির!
