Skip to content

স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২ তম জন্ম জয়ন্তীতে জানুন তাঁর কিছু বাণী!

1 min read

স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি মহান এই মনীষীর জন্ম হয়েছিল। এদিনে আমরা তাঁকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশজুড়ে তাঁর জন্মদিন পালনে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসুচি। তার মধ্যেই আমরা চোখ রাখব স্বামীজীর স্মরণীয় কয়েকটি বাণীর প্রতি, যা এত বছর পেরিয়ে আজও আমাদের ধমণীর রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়, এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জোগায়। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ছিলেন তাঁর আধ্যাত্মিকতার গুরু। তাঁর কাছেই বিবেকানন্দ শিখেছিলেন – সকল জীবের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করে, অতএব জীবের সেবা করে মানেই ঈশ্বরের সেবা করা। ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারতবর্ষ ও হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং আমেরিকার শিকাগোতে বক্তৃতা দেন। তাঁর তেজময়ী ভাষণে মুগ্ধ হয়ে যান উপস্থিত শ্রোতারা। আমেরিকাতে বহু মানুষ এই হিন্দু সন্ন্যাসীর পরম অনুরাগী হয়ে ওঠেন।

“যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে,
আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।”

“সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।”

“এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে
আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।”

“সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও,
তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।”

“যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে
দুর্বল করে তোলে সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন”

“অনুতাপ কর না,
পূর্বে যে-সব কাজ করেছ,
সে-সব নিয়ে মাথা ঘামিও না,
এমন কি যে-সব ভাল কাজ করেছ,
তাও স্মৃতিপথ থেকে দূর করে দাও।”

"অপরের দোষত্রুটি দেখিয়া বেড়ান তো আমাদের কাজ নয়।
উহাতে কোন উপকার হয় না।
এমন কি, ঐগুলির সম্বন্ধে আমরা চিন্তাও যেন না করি।
সৎ চিন্তা করাই আমাদের উচিত।
দোষের বিচার করিবার জন্য আমরা পৃথিবীতে আসি নাই।
সৎ হওয়াই আমাদের কর্তব্য।"

“যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন।
যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন
তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন
আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন,
তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন”

“সেবা করো তাৎপরতার সাথে।
দান করো নির্লিপ্ত ভাবে।
ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে।
ব্যয় করো বিবেচনার সাথে।
তর্ক করো যুক্তির সাথে।
কথা বলো সংক্ষেপে।"

“যারা তোমাকে সাহায্য করেছে, তাদের কখনও ভুলে যেও না।
যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কখনও ঘৃণা কোরো না।
যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।”

“উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে বাহিরে টেনে বের করে আনো,
এবং হালকা হও…
কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।”

Latest