Skip to content

‘দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খুন?’—বাসন্তী হাইওয়েতে সন্দেশখালির সাক্ষীর গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২, পলাতক চালক...

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাসন্তী হাইওয়েতে বুধবার সকালে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ও রহস্যঘন দুর্ঘটনা। সরবেড়িয়া থেকে বসিরহাট আদালতে যাচ্ছিলেন শাহজাহান মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলা ঘোষ। তাঁর সঙ্গে চার চাকার গাড়িতে ছিলেন কনিষ্ঠ পুত্র সত্যজিৎ ঘোষ এবং গাড়িচালক শাহানুর মোল্লা। পথেই উল্টো দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক ভোলাদের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় গাড়িটি ছিটকে পড়ে নয়ানজুলিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভোলার ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ এবং গাড়িচালক শাহানুর মোল্লার। গুরুতর আহত হন ভোলা ঘোষ নিজে। তবে দুর্ঘটনার পরই চালক ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা মানতে নারাজ ভোলার পরিবার। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। পরিবারের দাবি, ট্রাকচালকের নাম আলিম মোল্লা, তিনি সন্দেশখালির বাসিন্দা এবং শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। ভোলা যেহেতু শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী, তাই তাঁকে সরাতেই এই পরিকল্পিত ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।ঘটনার পর থেকেই পুলিশ পলাতক ট্রাকচালকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে। এরই মধ্যে ঘাতক ট্রাকটি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাকটির পারমিট গত ১৪ অক্টোবর থেকেই ফেল ছিল। অর্থাৎ বেআইনিভাবে রাস্তায় চলছিল এই ভারী যান। আরও জানা গিয়েছে, ট্রাকটির মালিক ছিলেন সন্দেশখালি-১ ব্লকের সরবেড়িয়া আগারাটি পঞ্চায়েতের লাউখালি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল সামাদ মোল্লা। তাঁর বাড়ি লাউখালি গ্রামেই। দুর্ঘটনার পর তাঁকে খুঁজতে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, তিনি বাড়িতে নেই।সামাদের মেয়ে হাসনুহানা সুলতানা জানিয়েছেন, ওই ট্রাকটি তাঁরা প্রায় আট মাস আগে নজরুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। যদিও ট্রাকের কাগজপত্র ও মালিকানার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একদিকে সাক্ষীকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ, অন্যদিকে ফেল পারমিটের ট্রাক, পালিয়ে যাওয়া চালক ও রাজনৈতিক যোগসূত্র—সব মিলিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘিরে রহস্য ঘনাচ্ছে। ভোলার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও মানসিকভাবে তিনি বিধ্বস্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Latest