নিজস্ব প্রতিবেদন: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা রাজ্য। আরজি কর হাসপাতাল তো বটেই এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জুনিয়র ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্ম বিরতি শুরু করেছেন। এমন অবস্থায় গোটা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণ রোগের চিকিৎসা থেকে শুরু করে জটিল চিকিৎসা করাতে গিয়ে হাসপাতালে তুমুল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন রোগীরা। এরই মধ্যে সোমবার ট্রমা বিভাগে সুমন সরকার (৩৭) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়,গত শুক্রবার থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও শনি এবং রবিবার কোনও চিকিৎসাই হয়নি ওই রোগীর। পরিবারের এক সদস্য আরও বলেন, নার্সের ঘরে ভুলবশত ঢুকে পড়েছিলাম। এর ফলে উনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন। আমাকে ঘর থেকে বের করে দেন।’’ মৃত্যুর শংসাপত্র পেতেও তাঁদের দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। ঠিক একই ভাবে বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ থাকায় সেখানে চিকিৎসা করাতে এসে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালেও মৃত্যু হয় পিয়ারুল শেখ (৩৫) নামে এক ব্যক্তির। সোমবার ভোরে দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরামে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে টোটোর ধাক্কায় মৃত হয় এক ছাত্রের। কার্যত চিকিৎসা না পেয়ে ছাত্রের মৃত্যু হয়। এই অভিযোগ তুলে বালুরঘাট হাসপাতালে ভাঙচুর করে মৃতের আত্মীয়রা। মৃত ছাত্রের নাম শিবম শর্মা। সে বালুরঘাট রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। সঠিক চিকিৎসা না পেয়েই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে বালুরঘাট হাসপাতালে ভাঙচুর করে রোগীর পরিবার। ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ বাজার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
এমন অবস্থায় গোটা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।