Skip to content

ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১২ বছরের নাবালকের মৃত্যু মেদিনীপুর শহরে !

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্ষাকালে ফের ডেঙ্গির বাড়-বাড়ন্ত। এবার ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু মেদিনীপুর শহরের বছর বারোর এক নাবালকের। এই নিয়ে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দু’জনের। এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর এবার মেদিনীপুর শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নাবালকের। মেদিনীপুর শহরে প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু হল মেদিনীপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডেই। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাত্রি আড়াইটা নাগাদ ১৪নং ওয়ার্ডের মিঞাবাজার সংলগ্ন তালমাল বস্তির বাসিন্দা, বছর ১২-র এক নাবালকের মৃত্যু হল। প্রচন্ড জ্বরের কারণে ওমর খান (১২) নামে ওই নাবালককে গত ১৯ আগস্ট (সোমবার) বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে পরিবার ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। নাবালক প্রথমে টাইফয়েড ও জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিল বলেও জানা যায়। পরে বড়মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ডেঙ্গু রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা শহর মেদিনীপুরে। এক্ষেত্রে, পৌর পরিষেবার প্রতিও ক্ষুব্ধ একাংশ বাসিন্দা। নিয়মিতভাবে আবর্জনা পরিষ্কার না করা থেকে, পানাতে ভর্তি পুকুর বা জলাশয়গুলি পরিষ্কার না হওয়ার জন্যও ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত নাবালকের মা আরজানা বিবি বলেন, গত ১৭ আগস্ট শনিবার থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল তাঁর ছেলে। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং পরে মেদিনীপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার পরও জ্বর না কমায়, সোমবার অর্থাৎ ১৯ আগস্ট তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের মেছোগ্রামে অবস্থিত বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই ডেঙ্গু ধরা পড়ে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার পরেও, বৃহস্পতিবার রাত্রি আড়াইটা নাগাদ হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় ওমর খানের! ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অর্পিতা রায় নায়েক বলেন, "খুবই মর্মান্তিক ঘটনা! মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের। প্রতিবছর বর্ষাকাল এলেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। এ বছরও বর্ষায় তার অন্যথা হল না। রাজ্যে জুড়ে ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।

Latest