কৌস্তভ মজুমদার : কলকাতার টালিগঞ্জ রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে সাইবার অপরাধের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা কর্মসূচি পালন করলো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড.সৌমেন্দ্র নাথ দে,নৃত্য শিল্পী ঐশী সিংহ চৌধুরী, লুনা সিনহা ও আর ও চারটি রোটারি ক্লাবের সদস্যরা।যেকোনও কাজের প্রয়োজনে এখন ইন্টারনেট অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু নেটমাধ্যমেই লুকিয়ে থাকে একাধিক বিপদ। সেই বিপদ থেকে বাঁচতে পদক্ষেপ নিচ্ছে গুগল। বৃহস্পতিবার গুগল একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে যা ভারতের ব্যবহারকারীদের অনলাইন বিপদ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।

এই কারণে সাইবার সুরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন করে বিনিয়োগ করেছে গুগল। পাশাপাশি ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করারও চেষ্টা করছে। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড.সৌমেন্দ্র নাথ দে বলেন সরকারের তরফেও একাধিকবার এইসব সতর্কতা নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী করবেন।
১) ফোনের অটো কানেক্ট মোড বন্ধ রাখুন- ফোনের অটো কানেক্ট মোড অন থাকলে যেকোনও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে আপনার ফোন অনায়াসেই সংযুক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু সমস্ত পাবলিক ওয়াই-ফাইতে এনক্রিপশন পদ্ধতি যুক্ত থাকে না তাই নিরাপত্তার খাতিরেই ফোনের অটো কানেক্ট মোড বন্ধ রাখুন। বাড়িতে থাকলে অটো কানেক্ট মোড অন রাখতে পারেন। কারণ আপনার বাড়ির ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক নিরাপদ। ফোনের অটো কানেক্ট মোড অফ রাখলে এমনিতেও ফোনে অনেকক্ষণ চার্জ বা ব্যাটারি লাইফ বজায় থাকে।
২) সন্দেহজনক ওয়াই-ফাইয়ের নাম দেখলে কানেক্ট করবেন না- পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের দিকে নজর থাকে হ্যাকারদের। সেখানে রাউটারের বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় নাম দিয়ে ইউজারদের আকর্ষণ টানার চেষ্টা করা হয়। তাই সন্দেহজনক কোনও পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের নাম যেমন ধরা যাক 'ফ্রি ওয়াই ফাই' এসব থাকলে ফোন কানেক্ট না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ পাবলিক ওয়াই-ফাই যে ফ্রিতে পরিষেবা দেয় সেটা সকলেই জানেন। সেক্ষেত্রে এমন নাম দেওয়া ইউজারদের বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
৩) পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের সাহায্যে কিছু শেয়ার করবেন না- ফোন থেকে বিভিন্ন ফাইল, ফোল্ডার, ডকুমেন্ট, ছবি, অডিও, ভিডিও... আরও কত কিছুই তো শেয়ার করি আমরা। পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের আওতায় থাকলে এইসব শেয়ারিং থেকে বিরত থাকুন। কারণ শেয়ার করার সময় আপনার ডিভাইস থেকে তথ্য অন্যত্র ফাঁস হয়ে যেতে পারে।
৪) অনলাইন ব্যাঙ্কিয়ের কাজ পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ে করবেন না- পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের আওতায় থাকাকালীন অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের কাজকর্ম না করাই ভাল। আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারেন আপনি।
৫) ফোনের সফটওয়্যার এবং সিকিউরিটি ফিচার আপডেটেড রাখুন। তার ফলে আপনার ফোন বা অন্য ডিভাইস অনেক বেশি নিরাপদে থাকবে। সহজেই হ্যাকাররা আপনার ডিভাইসের অ্যাকসেস পাবে না।
৬) পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ে যুক্ত হতে চাইলে ভিপিএন ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনার লোকেশন কোনওভাবেই ট্র্যাক করতে পারবে না হ্যাকাররা। ফলে তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
৭) ফোনের বিভিন্ন অ্যাপে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন। তাহলে সহজে আপনার ফোন হ্যাক হবে না। একই পাসওয়ার্ড সর্বত্র থাকলে হ্যাকাররা মাত্র ১০ মিনিটেই আপনার ডিভাইস হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবেন।
