নিজস্ব প্রতিবেদন : রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে টোটো। যাত্রীর সিটে নজর পড়তেই চমক। দিব্যি বহাল তবিয়তে বসে এক হনুমান। সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে গায়ে গা ঘেঁষে বসে এভাবেই নাকি যাতায়াত করেন বজরংবলী। নিত্য যাত্রী হনুমান তাই টোটো যাত্রীদের পরিচিত। ভয় ডরের বালাই নেই। প্রতিদিনই টোটো চেপে দুর্গাপুরের ইতিউতি ঘুরে বেড়ান তিনি।কারও পোষা নয়, নিজের মনমর্জির মালিক বজরঙবলী। তবে শহর ভ্রমণে বাহন হিসেবে তার পছন্দ মুকেশ টোটো চালকের টোটো। ওই টোটো চালকের সঙ্গেই টোটোয় চড়ে টো-টো করে ঘুরে বেড়ানোই নেশা বজরংজির (হনুমান)। টোটো রিক্সায় এমন যাত্রীকে দেখে অবাক। এমনই নজিরবিহীন দৃশ্য ধরা পড়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। যাত্রীবাহী একটি টোটো রিক্সায় নিত্যদিন একটি হনুমানকে চড়ে বসে থাকতে দেখেন পথচারী থেকে যাত্রীরা। ওই টোটোতে বসেই স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করছেন আবার যাত্রীরাও। তবে যাত্রীদের তো একটা গন্তব্য রয়েছে। কিন্তু বজরংজীর গন্তব্য বলে কিছুই নেই। সকাল থেকে টোটো রিক্সায় চড়াই তার শখ। টোটো দাঁড় করিয়ে রাখলেই মেজাজ হারায় বজরংজি। টোটোয় চেপে আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। ওই টোটোতে যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করতেই বজরংজি লাফিয়ে এসে তার সিটের দখল নেয়। যাত্রী থেকে পথচারীরা তাঁঁকে মাঝেমধ্যেই খাবার খাওয়ায়, আদর করেন। আবার গলা জড়িয়ে ধরলেই মাথায় দু-হাত ভরা আশীর্বাদ করেন বজরংজি। স্বয়ং বজরংবলীর আশীর্বাদ নিতে পথেঘাটে টোটো রিক্সা দাঁড় করিয়ে দেয় অনেক ভক্তই। পথচারীরা আবার ভিড় করে দাঁড়িয়ে বজরঙ্গীজি'কে প্রণামও করে।