নিজস্ব প্রতিবেদন : আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। এই আবহে গতকাল ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল নবান্ন অভিযান নিয়ে কলকাতা পুলিশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুষ্কৃতী গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করবে। ঠিক সেই মতোই মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় ও লাঠিচার্জ করে। এদিন ADG (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, “মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে অস্ত্র-গুলি-বোমা নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল। গতকাল ওই ২৫ জনকে গ্রেফতার করা না হলে আজ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। মানুষের প্রাণহানি হতে পারত।” বিনা প্ররোচনায় তাণ্ডব চালানো হয়েছে । এদিন আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই পদক্ষেপ পুলিশ করেছে। ADG (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার এও মন্তব্য করেন, বম্বে হাইকোর্ট বলেছে বনধ ডাকা বেআইনি। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, “হাওড়া ব্রিজের উপর একদল লোক পুলিশের দিকে ইট বৃষ্টি করল। আমরা সকাল থেকে লাউড স্পিকারে বার বার বলেছিলাম আপনারা আইন হাতে তুলে নেবেন না।” অনেক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। ADG আইনশৃঙ্খলা মনোজ কুমার ভার্মা বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলে পুলিশ বাধা দেবে না। কিন্তু আমরা জানতাম শান্তিপূর্ণ হবে না।গতকাল আগাম ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছিলাম।” উল্লেখ্য, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। অন্যদিকে পুলিশকর্তারা জানালেন আগামিকাল জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।