Skip to content

বাংলাদেশের শিক্ষার্থী-বেকারদের শেষ ভরসা বিসিএসের প্রশ্নও ফাঁস! ক্ষোভে ফুঁসছে পুরো দেশ!

ঢাকা জাকির হোসেন : আঁতকে ওঠার মতো খবর! পুরো বাংলাদেশ জুড়ে তোলপাড়! সর্ষের ভেতরেই ভূত! বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী, বেকারের সবশেষ ভরসার জায়গা ছিল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা তথা বিসিএস। এবার সেই বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটল! ৩৩তম বিসিএস থেকে ৪৬তম বিসিএস পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা ওঠে এসেছে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল-২৪ এর অনুসন্ধানে।

শেষমেশ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসও কলুষিত হয়ে যাওয়ায় চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দেশের মানুষ৷ সব সেক্টর দূষিত হয়ে গেলেও অন্তত বিসিএসের জায়গাটি দূষিত হয়নি—এমন বিশ্বাস লালন করা বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যেন হতাশা প্রকাশ করার কোনো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছেন না। উল্লেখ্য, বিসিএস পরীক্ষা ভারতের সর্বভারতীয় সার্ভিসেস ও কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার সমমান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষা৷

বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) অধীনে বিসিএস ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের প্রায় ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সবশেষ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত এই বিপিএসসি'র সার্বিক তত্ত্বাবধানেই বিসিএস সহ অধিকাংশ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির রাষ্ট্রীয় তথা সরকারি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে৷

চ্যানেল-২৪ এ প্রচারিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ জুলাই শুক্রবার অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস চক্রে বিপিএসসি’র অন্তত অর্ধডজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। অভিযুক্ত বিপিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন উপ-পরিচালক আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান। এদিকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা (সিআইডি)। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয় বিপিএসসি'র ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে৷ এ রিপোর্ট লেখা অবধি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। এ ব্যাপারে সিআইডি’র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী সংবাদ দর্পণকে বলেন, 'সাঁড়াশি অভিযান চলছে। যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এখন অবধি ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।' তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে বিপিএসসি’র উপ-পরিচালক আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম। এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান শাসকদল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ও বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মোহাম্মদ সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন, বেকার যুবক লিটন সরকার।'

প্রকাশিত সংবাদে বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচনায় আসেন বিপিএসসি'র সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। ৮ জুলাই সোমবার দুপুর থেকে বাবা-ছেলে দুজনের নানান কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রটি গত ৫ জুলাই শুক্রবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাকে বেছে নেয়। এই পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির তথ্য ফাঁস করতে ছদ্মবেশ ধারণ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিক দল৷ ছদ্মবেশী এক নিয়োগপ্রত্যাশী প্রার্থীকে তুলে দেওয়া হয় চক্রের সদস্যদের হাতে। এরপর ৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে ১২টা অবধি যে প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, হোয়াটসঅ্যাপে তার একটা কপি পাঠানো হয় পরীক্ষার অন্তত এক ঘণ্টা আগে। আর অজ্ঞাত স্থানে রেখে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের তা পড়ানো হয় আগের রাতেই। বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূলহোতা বিপিএসসি’র অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে দিলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য, ‘বিপিএসসি’র উপ-পরিচালক আবু জাফরের মাধ্যমে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে গত ৫ জুলাই শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। বিপিএসসি’র একজন সদস্যের অফিসে সংরক্ষিত ট্রাঙ্ক থেকে আবু জাফর রেলওয়ের প্রশ্ন আমাকে বের করে দিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, 'আমি এটাও জানি ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস করা হয়।'

বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিএসসি'র চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কমিশনের ক্ষমতাবলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশন যদি মনে করে তাহলে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া বিসিএসের কার্যক্রম বাতিলও হতে পারে।’

বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন চ্যানেল-২৪ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। তিনি লিখেছেন, 'শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছি আমরা। গেল শুক্রবার অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত খোদ বিপিএসসির কর্মকর্তারাই! দীর্ঘ অনুসন্ধানে বিপিএসসিকেন্দ্রিক এই চক্রটিকে চিহ্নিত করেছি আমরা, যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিসিএসের প্রিলি, লিখিত, মৌখিকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সকল সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। সর্বশেষ ৪৬তম বিসিএসও বাদ যায়নি এদের খপ্পড় থেকে। এই অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে শিউরে ওঠার মতোই, কেননা 'বিপিএসসি' -সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে লাখ লাখ বেকার তরুণ-তরুণী৷ জীবনের শুরুর ৩০ বছরের প্রায় সকল সুখ আর চাওয়া-পাওয়া বিসর্জন দিয়ে বিসিএস ধ্যান-জ্ঞান করে, নিদেন পক্ষে বিপিএসসির একটি নন-ক্যাডার প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরির আশায় যারা দিন গোনেন , লাইব্রেরিতে পড়ে থাকেন দিনের পর দিন, তাদের জন্য এ খবর রীতিমতো বজ্রাঘাত! রাষ্ট্রের তরফে প্রহসন। কিন্তু রাষ্ট্রের কাজে দক্ষ কর্মী খুঁজে বের করার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হয়ে এভাবে একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার দায় তিনি আর তার বোর্ডের সদস্যরা কীভাবে এড়াবেন? একটি দুটি তো নয়, ৩৩তম বিসিএস থেকে প্রায় ৩০টি ক্যাডার-ননক্যাডাার পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছি আমরা।'

প্রশ্ন ফাঁসে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে ফেসবুকে মোঃ রাশেদুল ইসলাম লিখেছেন, 'বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে একটি ক্যাডার পদ পাওয়ার জন্য সর্বনিম্নে ৩ বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছর অবধি জীবনের সুখ-দুঃখের অনুভূতি নষ্ট করে, সকল সামাজিক চাপ উপেক্ষা করে দিনরাত মেধাবীরা কষ্ট করে যাচ্ছে অথচ সেই পরীক্ষায় ৫০০ পদের বিপরীতে প্রশ্ন ফাঁস করা ৬০০ জনকে ঢাকার বিভিন্ন বুথে বুলি মুখস্ত করিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠানো হয়। ৫০০ পদের মধ্যে হয়ত ভাইভা দিয়ে কিছু মেধাবীর জায়গা হয় কিন্তু যারা যোগ্য ছিল কিন্তু জায়গা হয়নি, যারা ভাগ্যকে বিপিএসসি'র হাতে তুলে দিয়ে দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছিল তাদের সাথে এ কেমন অবিচার। লড়াই মেধাবীদের নাকি প্রশ্ন ফাঁসকৃতদের! ১২ বছর ধরে বিপিএসসির অফিস সহায়ক এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, একদা পুলিশের কাছে ধরা খেয়েও ব্যবসা বন্ধ হয়নি রীতিমতো চালিয়ে যাচ্ছেন। অফিস সহায়কের এত ক্ষমতা কোত্থেকে এলো এই হিসেব তো মেলে না। বিসিএস এর আশায় ব্যর্থ হয়ে যাদের ক্যারিয়ার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তাদের অভিশাপে এদের কি ঘুম হয়!'

তাসলিমা খানম লিখেছেন, 'বিসিএস পরীক্ষার ফর্ম কখনো আমার কেনা হয় নাই। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল অন্তত দেশে একটা প্রতিষ্ঠান ১০০% দূর্নীতিমুক্ত, সেটা হলো বিপিএসসি! কিন্তু না! ফাঁস হলো ৪৬তম বিসিএস এর প্রশ্নও! ৩৩তম বিসিএস থেকে প্রায় ৩০টি ক্যাডার-নন ক্যাডার পরীক্ষার প্রিলি, লিখিত, এমনকি ভাইভার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছিল! ধন্যবাদ বিপিএসসি আমার ভুল ভাঙানোর জন্য!'

আজমেরী সুলতানা লিখেছেন, 'ফাঁস হয়েছিল ৪৬তম বিসিএস এর প্রশ্ন! ৩৩তম বিসিএস থেকে প্রায় ৩০টি ক্যাডার-নন ক্যাডার পরীক্ষার প্রিলি, লিখিত, এমনকি ভাইভার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছিল! তরুণ সমাজের একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল বিপিএসসি। এটিও বাদ গেলো না পচনের হাত থেকে। তাই, দম্পতি ও জোড়ায় জোড়ায় বিসিএস নিয়ে এখন আমার যথেষ্ট সন্দেহ! স্বামী পারলে বউ পারে, আবার বউ পারলে স্বামী পারে! না মানে একসেট কিনলেই হয়ে যায় না?!'

লালচান আলী লিখেছেন, 'বিসিএস এর প্রশ্ন ফাঁস হয় এই কথা শুনে সবাই অবাক হচ্ছে দেখে আমি ভীষণ অবাক হলাম। আমাদের দেশের সব সেক্টরে দুর্নীতিবাজরা বসে আছে। আর বিপিএসসি-তে ওলি আউলিয়ারা বসে আছে - এই ভাবনাটা কীভাবে সবাই ভাবলো!! সেটি দেখে অবাক না হওয়ার কোনো উপায় নেই। দুর্নীতিবাজরা রীতিমত দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। হায় বিসিএস!'

চিকিৎসক সানজিদা সরকার লিখেছেন, '৪২ তম স্পেশাল বিসিএস হয়েছিলো আমার, লোকজন শুনলেই বলতো তা এমন কঠিন ছিল না সাধারণ বিসিএস! এখন যে অবস্থা দেখতেছি তাতে তো বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিতেও ভয় হচ্ছে!'

বাংলাদেশের নাগরিক ইরফান রহমান পড়ালেখা করেছেন ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ দেশে ফিরে সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে গিয়ে নিজের করুণ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন, 'বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ (বিআরআইসিএম) এর প্রথম শ্রেণির একটি চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে গিয়ে দেখি তারা সরাসরি ঘুষের প্রসঙ্গ তুললো৷ সেই থেকে প্রতিজ্ঞা করেছি ঘুষ দিয়ে কোনো চাকরি নেবো না৷ ঘুষ দেওয়া মানে আমার মেধাকে অপমান করা, আমার এতোকালের শিক্ষাকে কলুষিত করা৷ শিক্ষার মূল কথা হচ্ছে নিজের মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ৷ তা-ই যদি না হলো, তবে ওই শিক্ষা মূল্যহীন৷ এবার বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার খবর শুনে এটাই মনে হচ্ছে এই বঙ্গদেশে জন্ম নেওয়াটাই ছিলো আমার মতো ছেলেমেয়েদের আজন্ম পাপ৷ এখন বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছি নিজের ও পরিবারের জন্য একটা সম্মানজনক জীবনের প্রত্যাশায়, তা-ই ভালো৷'

Latest