নিজস্ব সংবাদদাতাঃ CAA নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। ভোটপ্রচারে গিয়ে দাবি করলেন, তৃণমূলের কাউকে নাগরিত্ব দেওয়া হবে না। কিন্তু অন্যদিকে কোচবিহারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলার সব পরিবারের নাগরিকত্ব মোদির গ্যারান্টি!। এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে দেশজুড়ে লাগু হয়েছে CAA। তার পর থেকে তৃণমূল বারবার আমজনতাকে সতর্ক করেছে। বলা হচ্ছে, এই নাগরিকত্ব সংশোধন আইন আদতে মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র। কেউ যেন CAA আবেদন না করে সেইবিষয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে সকলকে। এদিকে খোদ মোদি বলছেন, কেউ নাগরিকত্ব হারাবেন না। এসবের মাঝেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য। যেখানে বিজেপি প্রার্থী বলছেন, “তৃণমূলের একজনকেও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। তৃণমূলের কোনও কথা শুনতে হবে না। আপনারা ‘সেল্ফ ডিক্লারেশন’ দেবেন। আর ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের সময় আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন। কী করতে হবে বলে দেব।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলের লোকদের দেখাব খ্যামটা নাচ কাকে বলে দেখাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন বাঁচায়।”
এই ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বৃহস্পতিবার বলেন, “ওরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছে। ওরা বলে দিয়েছে, নাগরিকত্বের দরকার নেই। কেন তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে? ভোটার কার্ডই যেন নাগরিকত্বের প্রমাণ হয়।” এ প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুরকে পালটা দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “ওঁরা বুঝে গিয়েছে জিততে পারবে না। তাই এসব বলছে।”