পূর্ব মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : দু-দিন ব্যাপী আন্তঃ বিদ্যালয় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো তমলুকের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে। এই নাট্য উৎসবের আয়োজক সংস্থা ছিল তমলুক আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাব।এটি ছিল এই নাট্যোৎসবের সপ্তম বর্ষ। দুদিনে মোট আটটি বিদ্যালয় নাটক পরিবেশন করে। প্রথম দিনের প্রথম দর্শনের নাটক "যখনকার যা", পরিবেশন করে বেতকল্লা মিলনী বিদ্যানিকেতন।প্রথম দিনের দ্বিতীয় দর্শনের নাটক ছিল ব্যবত্তারহাট আদর্শ হাই স্কুলের নাটক "পেট চুরির মামলা"। তৃতীয় দর্শনের নাটক "লীলাবালি"।অংশগ্রহণে কোলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। চতুর্থ দর্শনের নাটক পরিবেশনকারী বিদ্যালয় শালগেছিয়া হাইস্কুল। তাদের নাটক ছিলো "উত্তরণ"। দ্বিতীয় দিনের একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার প্রথম দর্শনের নাটক পরিবেশন করে ডহরপুর তপশিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের "ঠকারাম ঠগবাজ"। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় দর্শনের নাটক পূর্ব নৈছনপুর হাইস্কুলের "আকাশ কুসুম"। তৃতীয় দর্শনের নাটক কৃষ্ণগঞ্জ কৃষি-শিল্প বিদ্যালয়ের "র্যাগিং- একপাল ক্ষমতা এবং একা"। আন্তঃ বিদ্যালয় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার শেষ প্রতিযোগী বিদ্যালয় বল্লুক হাইস্কুল। তাদের নাটক ছিলো "কালপেঁচা"। এছাড়াও প্রতিযোগিতার বাইরে দুদিনে চারটি দল নাটক পরিবেশন করে। তমলুক আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাবের শিশুবিভাগ পরিবেশন করে হাসির নাটক " মা দূর্গা এন্ড কোং"। নাটক "আটার রুটি" পরিবেশন করে কুকড়াহাটির নাট্যদল '। হুগলি জেলার হরিপাল আশ্রমিক' পরিবেশন করে তাদের নাটক "থাপ্পড়", সবশেষে ঝাড়্গ্রাম 'আনন্দন' নাট্য ক্লাব পরিবেশন করে "সিকিউরিটি"।প্রযোজনা বিভাগে প্রথম হয়েছে ডহরপুর তপশিলি হাই স্কুল, দ্বিতীয় হয়েছে ব্যবতারহাট আদর্শ হাই স্কুল, তৃতীয় বল্লুক হাই স্কুল। সেরা অভিনেতা ছাত্র বিভাগে প্রথম হয়েছে রামানুজ পট্টনায়ক (কৃষ্ণগঞ্জ কৃষি শিল্প বিদ্যালয়), দ্বিতীয় দীপাঞ্জন পাঁজা (বল্লুক হাইস্কুল ) তৃতীয় শুভাশিস রায় (ব্যবতারহাট আদর্শ হাই স্কুল)। সেরা অভিনেত্রী ছাত্রী বিভাগে প্রথম হয়েছে মীনাক্ষী পাঁজা (কোলা ইউনিয়ন হাই স্কুল), দ্বিতীয় সুকন্যা দীক্ষিত (ডহরপুর তপশিলি হাই স্কুল), তৃতীয় অনন্যা ভৌমিক (পূর্ব নৈছনপুর হাই স্কুল)।তমলুক হ্যামিলটন হাই স্কুলের শিক্ষক অপূর্ব মিশ্র বলেন,"গ্রাম বাংলার ও মফস্বলের ছাত্র -ছাত্রীরা তমলুকে নাটক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর তমলুক আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাব। নাটক দেখে ভালই লাগলো। প্রতিকূলতার মধ্যে সংস্থার এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাই"। সংস্থার পক্ষ থেকে সুব্রত ঘোষ জানান ছোটদের মাধ্যমে নাটকের প্রসার ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য। এই নাট্য প্রতিযোগিতা ও উৎসবের মাধ্যমে আগামী দিনের নাটকের প্রসার ঘটবে বলে আমাদের বিশ্বাস।