ঢাকা, জাকির হোসেন: বাংলাদেশে যে কোনও সময়ে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল ব্রিটেন। বাংলাদেশে যে অঞ্চল জনবহুল এবং বিদেশিদের আনাগোনা বেশি সেখানেই এই হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্রিটেনের। এই কারণে ব্রিটেনের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সঙ্গেই ব্রিটিশ নাগরিকদের বাংলাদেশের জনবহুল জায়গা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। ইসলামের সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়, এমন মনে হলে তাদের উপরে হামলা করতে পারে কয়েকটি দল বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের শাসনকালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ। দেশটির বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। গত মাসেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে হিন্দুরা। সেখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইউনূসকে বার্তা দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। যদিও বাংলাদেশের দাবি, দেশটিতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছেন। এই অবস্থায় উত্তেজনা বাড়ছে। ঠিক এই সময়েই সতর্কতা জারি করল ব্রিটেন।
মঙ্গলবারও এই রকম একটি সতর্কবার্তা জারি করেছিল ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটেনের দূতাবাস। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে জানিয়ে দেশটিতে বিদেশিদের উপর জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান ভ্রমণের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ নাগরিকদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
একটি বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি হানার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের সরকার। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়, পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে প্রায়ই হামলা হয়। জঙ্গিরা সেখানে বিভিন্ন বড় শহরে হামলার জন্য আইইডি-ও ব্যবহার করেছে। এই ধরনের হামলা রুখতে বাংলাদেশের সরকার অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার সঙ্গে অল্প সময়ের নোটিশে কোনও এলাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও জারি করে৷ উল্লেখ্য, সোমবারই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন সাংসদ প্রীতি প্যাটেল।