নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রিটেনের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র নিয়ে সেদেশে সফরে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণপর্ব চলাকালীন কিছুটা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হলেও, ক্ষণিকের মধ্যেই আবার সব শান্ত হয়। বক্তৃতা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে বসেন মমতা। তাঁর রাজনৈতিক জীবন থেকে শাসনকাল, প্রতিটা পর্ব উঠে আসতে দেখা যায় এই সাক্ষাৎকারে। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, ‘বিশ্বের বৃহৎতম অর্থনীতির তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনকেও তারা ছাপিয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই পঞ্চম থেকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশেও পরিণত হবে ভারত। বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলোগ কলেজে যখন মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন, সেইসময় শ্রোতাদের মধ্যে থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সরাসরি আঙুল তোলা হয় তাঁর সরকারের দিকে। সেটার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা বিচারাধীন বিষয়। আর কেন্দ্রীয় সরকার এই মামলার দায়িত্বভার নিয়েছে (সিবিআই তদন্ত)। এই মামলার তদন্তভার আমাদের হাতে নেই। দয়া করে রাজনীতি করবেন না। এটা রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। সেটা আমার রাজ্যে আমার সঙ্গে করতে পারেন। কিন্তু এখানে নয়। আপনি আমার থেকে ভালো জানেন, সেটা ক্রাউড ফান্ডিং হোক বা অন্য কিছু।’

প্রসঙ্গত, বিরোধিতার মুখে পড়ে মেজাজ হারানো দূরে থাক বরং পোড়খাওয়া রাজনীতিকের মতোই, অত্যন্ত ধৈর্য ধরে মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির সামাল দেন। দীর্ঘ এক ঘণ্টার বক্তব্যের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'একটা জনপ্রিয় গান আছে, ইফ ইউ মিস দ্য ট্রেন আই অ্যাম অন, ইউ উইল নো দ্যাট আই অ্যাম গন! ইউ ক্যান হিয়ার দ্য হুইসেল ব্লো এ হান্ড্রেড মাইলস...'