Skip to content

হিউম্যানিটিজে ‘নোবেল’ পেলেন বাঙালি চিন্তাবিদ গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক!

জয়দেব বেরা : গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক ১৯৪২ সালে ২৪শে ফেব্রুয়ারী ভারতবর্ষের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ছিলেন একজন বাঙালি চিন্তাবিদ।তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।একজন ভারতীয় সাহিত্যিক তাত্ত্বিক, নারীবাদী সমালোচক, উত্তর-ঔপনিবেশিক তাত্ত্বিক এবং তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপিকা যিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিনির্মাণমূলক সমালোচনার(Deconstructive Criticism)জন্য বিখ্যাত ছিলেন।তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে উত্তর উপনিবেশবাদের সূচনাকারী লেখা “Can the Subaltern Speak?” এবং জাক দেরিদার “De la Grammatologie” বইটিকে মূল ফরাসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা, যেটির ইংরেজি নাম “On Grammatology”; তিনি তাঁর একটি নিবন্ধে এর বাংলা নামকরণ করেছেন “লিপিতত্ত্বপ্রসঙ্গ”।সুদীর্ঘ বছর ধরে উনি সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি সামাজিক বিজ্ঞানের উপর নানান গবেষণামূলক কাজ করে গেছেন।তাঁর কাজগুলো বিশ্বের দরবারে সুপরিচিত লাভও করেছে।তিনি একজন আন্তর্জাতিক স্তরের লেখিকা এবং গবেষক।তুলনামূলক সাহিত্যের পাশাপাশি সমাজতত্ত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান,উমেন স্টাডিজ,ফিলোসফি সহ নানান বিষয়ে উনার লেখা গবেষণামূলক আলোচনা ও তত্ত্বকে পড়ানো হয়ে থাকে। তবে আনন্দের খবর হল তুলনামূলক সাহিত্য, নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা, নারীবাদ, সামাজিক ও রাজনৈতিক তত্ত্ব ও দর্শন নিয়ে গবেষণা এবং অধ্যাপনার স্বীকৃতি হিসেবে নরওয়ের হলবার্গ পুরস্কারের জন্য তিনি মনোনীত হয়েছেন।হলবার্গ পুরস্কার কমিটি জানিয়েছে, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তুলনামূলক সাহিত্য, নিম্নবর্গের ইতিহাস, নারীবাদ, সামাজিক ও রাজনৈতিক তত্ত্ব ও দর্শন নিয়ে গবেষণা এবং অধ্যাপনার স্বীকৃতি হিসাবে হলবার্গ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে।উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য, নারীবাদ, বিশ্বায়ন, পলিটিক্যাল থিয়োরি ও ক্রিটিক্যাল সোশ্যাল থিয়োরি নিয়ে তাঁর সারা জীবনের গবেষণা বিশ্বের প্রায় অন্তত ২০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সারা বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশে অধ্যাপনার সুবাদে তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যাও রয়েছে একাধিক।বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লিখিত অসংখ্য প্রবন্ধ সারা বিশ্বে পড়ানো হয়। তুলনামূলক সাহিত্য, অনুবাদ, পোস্ট কলোনিয়াল স্টাডিজ, পলিটিক্যাল ফিলোজফি এবং ফেমিনিস্ট থিয়োরি নিয়ে তাঁর সারা জীবনের কাজের সুবাদেই এই পুরস্কার উনার প্রাপ্ৰ বলেই জানা যায়। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়,গত ১৩ মার্চ পুরস্কার প্রাপক হিসাবে উনার নাম ঘোষণা করা হয়। যাবতীয় রীতি মেনে আগামী ৫ ই জুন নরওয়ের বেরজেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ওই সম্মান তাঁর হাতে তুলে দেবেন সে দেশের যুবরাজ হাকোন। পুরস্কারের অর্থমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।উনার এই পুরস্কারের কৃতিত্ব সমগ্র ভারতবর্ষের মানুষের মধ্যে তথা বাঙালির হৃদয়ের মধ্যে এক গর্বের অনুভূতি এনে দিয়েছে।উনার এই নোবেল প্রাপ্তির দিনটি ইতিহাসের পাতায় সারাজীবন লেখা থাকবে।উনার চরণে প্রণাম জানাই।

Latest