নিজস্ব সংবাদদাতা: গত রবিবার ১৬ই নভেম্বর জেরিয়াট্রিক সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ শাখার উদ্যোগে জেরিয়াট্রিক মেডিসিনের বিভিন্ন দিক নিয়ে পঞ্চম রাজ্য সম্মেলন ও আলোচনা হলো। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে মানুষ যখন বার্ধক্য পর্যায়ে এসে পৌঁছয়, তখন সাধারণ শারীরিক সমস্যাগুলির পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত আরও নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বার্ধক্যের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটাই কমে যায়। তাই এই সময়ে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। বয়স্কদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার এই বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি হল ‘জেরিয়াট্রিক মেডিসিন’ বা বার্ধক্যবিদ্যা। ‘জেরিয়াট্রিক মেডিসিন’-এর চিকিৎসকদের ‘জেরিয়াট্রিশিয়ান’ বলা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ চিকিৎসক।

সংবর্ধনা দেওয়া হয় ১০৬ বছর বয়সি চিকিৎসক মণি ছেত্রীকে।উপস্থিত ছিলেন জেরিয়াট্রিক সোশ্যাল প্যানেল আলোচনায় রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক সুদেষ্ণা রায় ও শিক্ষা উপদেষ্টা ইনা বসু এবং ডা: রাহুল ভট্টাচার্য,ডা: জয়ন্ত শর্মা,ডা: কৃষ্ণঞ্জন চক্রবর্তী, ডা: শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায়,ডা:সুকুমার মুখার্জি,ডা: ধীরেশ চৌধুরী,ডা: চিন্ময় কুমার মাইতি, ডা:অনির্বাণ দলুই,ডা:অরুণাংশু তালুকদার,ডা: মৈনাক গুপ্ত,ডা: মেঘনা দত্ত,ডা: মায়াঙ্ক সাহু,ডা:নিবেদ নওশ্রম,ডা: মাসুদ আল হাসান প্রমুখ বিশিষ্ট চিকিৎসকরা । সম্মেলনে একই সঙ্গে তিনটি কক্ষে বৈজ্ঞানিক এবং সামাজিক জেরিয়াট্রিক সেশন এবং ওয়ার্কশপ চলে। মূল আলোচনায় সামাজিক জেরিয়াট্রিক্সের উপরে জোর দেওয়া হয়।

প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন শতাধিক বিশেষজ্ঞ।সম্মেলন শুধুমাত্র জেরিয়াট্রিক মেডিসিনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সমৃদ্ধ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। বরং কী ভাবে প্রবীণদের সামগ্রিক ভাবে ভালো রাখা যায়, তার একটি প্রচেষ্টাও হয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বয়স্কদের যত্ন ও শুশ্রূষার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কাজে জোর দেওয়া হয়। জেরিয়াট্রিশিয়ান ছাড়াও বিভিন্ন স্পেশালিটির চিকিৎসকরা অংশ নেন।

সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জেরিয়াট্রিক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, বিএনআর হাসপাতাল, উডল্যান্ডস হাসপাতাল–সহ অনেক প্রথম সারির হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি 'বাঁচবো হিলিং টাচ ফাউন্ডেশন', 'দ্যুতি এল্ডারকেয়ার', 'ব্যারাকপুর এল্ডারকেয়ার', 'এজ ওয়েল ফাউন্ডেশন'–সহ বিভিন্ন জেরিয়াট্রিক সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও যোগ দেন।