পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : বুধবার মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্রিজে ঘটে গেল এক হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। হঠাৎ এক মুহূর্তের অসাবধানতায় থেমে গেল এক তরুণ প্রাণ, আর একজন জীবনের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে।খড়গপুরের বাসিন্দা অসীম দাস ওরফে (বুবাই) ও প্রাক্তন পূরপ্রধান জহর পালের বড় ছেলে নির্মল পাল ওরফে (বাপ্পা)— দুই জনে বাইকে চেপে আসছিলেন মেদিনীপুরের দিকে। জানা গেছে, নির্মল পাল ডায়ালিসিসের জন্য তাঁকে নিয়ে আসচ্ছিলেন অসীম। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সেই পথেই ঘটল সর্বনাশ। মোহনপুর ব্রিজে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি লরি আচমকা বাইকটিকে জোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাতে দুজনই রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছাতেই চিকিৎসকেরা অসীম দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত নির্মল পাল এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে খড়গপুর ও মেদিনীপুরে।

হাসপাতালে ছুটে আসেন খড়গপুর গ্রামীণ বিধায়ক দিনেন রায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা,শালবনী বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত ,তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ এবং প্রাক্তন খড়গপুর বিধায়ক প্রদীপ সরকার,পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ, সন্দীপ সিংহ,অপূর্ব ঘোষ, পিংকা দেবনাথ,নমিতা চৌধুরী, রীতা শর্মা ও আবির আগারওয়াল -সহ জহর বাবুর শুভানুধ্যায়ীরা। তাঁরা আহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, মৃত অসীম দাসের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। উপস্থিত ছিলেন একাধিক কাউন্সিলার ও তৃণমূল কর্মীরাও। স্থানীয়দের বক্তব্য এই ব্রিজ যানবাহনের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ব্রিজ এলাকায় প্রায়ই দ্রুতগতির গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। আবারও সেই অসচেতনতাই কেড়ে নিল এক মূল্যবান প্রাণ।ভেঙে গেল এক পরিবারের স্বপ্ন।