নিজস্ব সংবাদদাতা : বিষ্ণুপুরের নাট্য প্রেমী মানুষের মন জয় করলেন,রয়ে গেলেন হৃদয় জুড়ে।হ্যাঁ,নাট্য চূড়া মনি দেব শঙ্কর হালদার।তরুণ সংঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে ১ বছর আগে থেকে ভাবনা ও পরিকল্পনা চলছিল,বেশ কয়েক মাসের সকলের চূড়ান্ত আন্তরিক পরিশ্রম,আর শেষ কয়েকদিন গোটা বিষ্ণুপুরের নাট্য প্রেমী মানুষের সাহায্য সহযোগিতা ও উৎসাহ চূড়ান্ত রূপ দিল গত বুধবার ৪থ  ডিসেম্বর ২০২৪  যদু ভট্ট মঞ্চে কানায় কানায় পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে দুর্দান্ত একটি মঞ্চ সফল নাটক পরিবেশিত হল চাকদহ নাট্যজন প্রযোজিত বিল্বমঙ্গল কাব্য ।ভীষন সুন্দর একটি প্রযোজনা।কাকে ছেড়ে কাকে দেখি এমন অবস্থা গোটা টিমের।অল্প বয়সী চিন্তা,পাগলীনি থেকে শুরু করে একেবারে একঝাঁক তরুণ তুর্কি সবাই মিলেই সবার মন জয় করে গেল।আর দেব শঙ্কর হালদার স্যার এর কথা ব্যাখ্যা করার সাহস যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই।সারা মঞ্চ জুড়ে গোটা নাটক টি যেভাবে টেনে নিয়ে গেলেন চোখের পলক ফেলতে পারিনি।পাগলীনি বেশে সঞ্জিতা সবার মন কেড়ে নিয়েছেন তাঁর অভিনয়,তার সুরেলা গলা দিয়ে।মঞ্চে প্রবেশ করলেই মঞ্চের উজ্জ্বলতা 10 গুণ বেড়ে যাচ্ছিল। Suman Paul  এর কথা না বললেই নয়।যখন থেকে নাটক টি করানোর কথা ভেবেছি সুমন কে যেভাবে চেয়েছি সেভাবেই শো টি যাতে করতে পারি তার জন্য শক্ত ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন।প্রতিদিন দল নিয়ে সারা রাজ্যে জেলায় জেলায় যেভাবে ভালো ভালো নাটক নিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন সত্যি প্রশংসার দাবিদার,এই নাটকেও দুর্দান্ত অভিনয় করে বেশ নজর কেড়েছেন।সব মিলিয়ে ভীষন মন জয় করা একটি প্রযোজনা।
বিষ্ণুপুরের নাট্য প্রেমী সকল মানুষকে জানাই শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।এই ভাবে পাশে থাকলে আগামী দিনে আরো সুন্দর সুন্দর নাটক দেখতে পাবো কথা দিতে পারি।আমাদের গর্বের যদু ভট্ট মঞ্চ টি যাতে সত্যিকারের মঞ্চটি তৈরির উদ্দেশ্য সফল তা আমরা প্রমাণ করে দিতে পেরেছি সকলে মিলে।এর আগেও অনেক নাটক যদু ভট্ট মঞ্চে হয়েছে,কিন্তু এই নাটক টি  যেভাবে সারা জেলাজুড়ে একটা উদ্দীপনা তৈরি করতে পেরেছিল তা অবিস্মরণীয়।কানায় কানায় পূর্ণ দর্শকাসন।শুধুমাত্র একটি নাটকের জন্যে এত মানুষের সমাগম,এত ভালোবাসা,আমরা আপ্লুত। SDO স্যার এর মূল্যবান বক্তব্যের  একটি কথা আমরা আমাদের চলার পথের পাথেও করে রাখলাম। " যা আমরা যদু ভট্ট মঞ্চ কমিটি করে দেখাতে পারিনি,তরুণ সংঘ ক্লাব তা আজ করে দেখালেন।"
অনেক ধন্যবাদ স্যার SDO  Bishnupur ,আজ আপনি আপনার অকপট সুন্দর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর বাসির হৃদয় স্পর্শ করলেন ।অনেক ধন্যবাদ জানাই  Goutam Goswami -Chairman Bishnupur Municipality,অমূল্য সময় নষ্ট করে উপস্থিত ছিলেন,উপস্থিত ছিলেন IC  Bishnupur Atanu Santra  স্যার,বিশিষ্ট আইনজীবী আমাদের এক্কেবারে কাছের মানুষ Monodipto Chowdhury ,প্রথম থেকেই নাটকটি করানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে পাশে থেকেছেন ।অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষজন উপস্থিত ছিলেন দর্শক আসনে,অনেক কৃতজ্ঞতা সবার কাছে।প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্তাব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত।ছিলেন কারাধ্যক্ষ মাননীয় Pulak Mondal স্যার,এক ডাকেই সব সময় পাশে পাই স্যার কে।অনেক ধন্যবাদ স্যার।বিধানসভা সেশন চলার জন্য উপস্থিত থাকতে না পারলেও  MLA Tanmay Ghosh  শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে আন্তরিক ভাবেই নাটকের পাশে ছিলেন। বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকলের প্রিয় দাদা জীবন সুরক্ষা হাসপাতাল দুই  কর্ণধার  Goutam Mukherjee  কে,যখনই যেকোনো ভালো কাজে দাদাকে ডাকলেই পাশে পাই বলে অনেক ভরসা পাই।এছাড়াও বিষ্ণুপুরে অনেক মানুষকে ভীষণ ভাবে সাথে পেয়েছি যারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,কিন্তু যেকোনো ভালো কাজে সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই দুহাত বাড়িয়ে দেন সাহায্যের।ধন্যবাদ জানাই ইনসাইট ল্যাব,ভুরি ভোজ ক্যাটারার,আন্তরিক ক্যাটারার,চক্রবর্তী ফিজিও থেরাপি,সিল্ক ভবন,মন্ডল কাঠ সাপ্লায়ার,সম্প্রীতি ফ্লাওয়ার ডেকোরেশন,sobisco বিস্কুট,সুমঙ্গলম লজ,এ্যাড ইলোরা,রাজু পাল সিল্ক সেন্টার,ডিজি ফ্লেক্স, রাইনো ব্রিকস।ভীষন ভাবে সহযোগিতা করেছেন যদুভট্ট মঞ্চ কমিটি,আরো অনেক অনেক মানুষ নানা ভাবে এই নাটকে সাহায্য করেছেন সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই "নাটকের পাশে তরুণ সংঘ"গ্রুপের প্রতিটি সদস্যকে।বিশেষ ভাবে তরুণ সংঘ ক্লাবের সম্পাদক Sukanta Chowdhury , সভাপতি,সহসভাপতি,সহসম্পাদক,কোষাধ্যক্ষ সহ তরুণ সংঘের প্রতিটি সদস্য কে। Sk Harun  এবং DG ফ্লেক্সের প্রতিটি কর্মচারী যে ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তা অতুলনীয়।সবাই মিলে নিজেরাই নিজেদের নেওয়া চ্যালেঞ্জ কে মোকাবিলা করেছি।
সবশেষে একটা কথা বলতে চাই,সবাই মিলে কোন ভালো কাজ করতে চাইলে সেটা করা মোটেও কঠিন নয়।আসুন এইভাবে হাতে হাত রেখে সুস্থ সংস্কৃতির পক্ষে থাকি সবাই,তাহলেই আগামী প্রজন্ম কে একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিয়ে যেতে পারবো। আজ তরুণ সংঘ ক্লাবের হাত ধরে বিষ্ণুপুরের সুস্থ সংস্কৃতির পক্ষে থাকা নাট্যমোদী মানুষ অপরাজিতা।