নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্য বিজেপিকে কখনও ৩০, কখনও ৩৫ আবার কখনও ৪২ আসনের টার্গেট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেল, ৩০-৩৫ তো দূর, গত লোকসভা নির্বাচনে পাওয়া ১৮টি আসনও ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এমনকী উত্তরের শক্ত জমিও এবার নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। পরাজিত হয়েছেন নিশীথ প্রামাণিকের মতো প্রার্থী, যাঁর জয় প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের পরপর সভা, রোড শো- সবই কি বিফলে গেল? কোন অঙ্কে ভুল হয়ে গেল বিজেপির। প্রকাশ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। কেন্দ্রীয় নেতারাও বারবার একযোগে লড়াই করার কথা বলেছেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে শোনা যায়, শিবিরের অন্দরেই রয়েছে দ্বন্দ্ব। কার গুরুত্ব বেশি, কে মঞ্চে জায়গা পাবেন- এ সব নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি যে একেবারেই নেই, তা নয়। জেলায় জেলায় নয়, রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যেও রয়েছে দ্বন্দ্ব। এমনকী বিজেপিই বিজেপির বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছে, এই দৃশ্যও দেখা গিয়েছে ভোট-আবহে।
সেই জয়ে খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তিনি জোটের একাধিক নেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মেসেজ করেছেন সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকেও। ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থনের কথাও জানিয়েছেন।