নিজস্ব সংবাদদাতা: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA) একটি জেনেটিক রোগ। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে একটি ইনজেকশনের প্রয়োজন ছিল। এর নাম ছিল জোলজেনসমা। ইনজেকশনের দাম ছিল ১৬ কোটি। তবে, ইনজেকশন প্রস্তুতকারক সংস্থা অস্মিকার জন্য দাম কমিয়ে ৯ কোটি টাকা করে। সেই টাকা সংগ্রহের জন্য 'ক্রাউড ফান্ডিং' শুরু করা হয়েছিল। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও অস্মিকার জন্য সাহায্যের আবেদন করেছিল। প্রায় ১১ মাস চেষ্টার পর চিকিৎসার খরচ মেটানো হয়েছিল। বুধবার, কলকাতার পিয়ারলেস মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালে ডাক্তার সঞ্জুক্তা দে-র তত্ত্বাবধানে অস্মিকাকে ইনজেকশনটি দেওয়া হয়েছিল। ডাক্তার সঞ্জুক্তা দে বলেন, বাবা-মায়ের মধ্যে জিনগত সমস্যা থাকলে শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে SMA প্রোটিন তৈরি হয় না। এর ফলে পেশী এবং স্নায়ু ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। শিশুটি নড়াচড়া করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। ডাক্তারের মতে, "এই রোগের অনেক ধরণ রয়েছে।

টাইপ ওয়ান সবচেয়ে তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং শরীর দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অস্মিকা এই টাইপ ওয়ান রোগে আক্রান্ত হয়।" তবে এর জন্য, একটি ইনজেকশন প্রয়োজন। শিশুটির ২ বছর বয়স হওয়ার আগেই ইনজেকশনটি দিতে হবে। অস্মিকা যখন ১৭ মাস বয়স করেছিল তখনই তাকে ওই ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। ফলে তার কিছু সমস্যা হবে, বলেন চিকিৎসক সংযুক্তা দে। তিনি বলেন, "এই রোগ সম্পূর্ণরূপে নিরাময়ের জন্য অস্মিকাকে আরও আগেই ইনজেকশন দেওয়া উচিত ছিল। রোগ ধরা পড়ার সাথে সাথে যদি ইনজেকশন শুরু করা যায়, তাহলে ফলাফল অনেক ভালো।" তবে, দেরিতে হলেও, এই ইনজেকশন নিলে অস্মিকা আগের তুলনায় অনেক ভালোভাবে সেরে উঠবে। চিকিৎসকের মতে, "আগে শিশুটি পুরোপুরি বসতে পারত না। খাবার গিলতে কষ্ট হতো। তার হাত কাঁপত। সে হাতে শক্তি পেতে পারত না। সে তার পা নাড়তে পারত না। আমরা আশা করি এবার সে এই সব করতে পারবে। সে আগের তুলনায় অনেক ভালোভাবে সেরে উঠবে। তবে, রোগের কিছু প্রভাব শরীরে থেকে যেতে পারে।