নিজস্ব সংবাদদাতা : ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকেই বাড়ছে উত্তেজনা।১৯৭১-এর পর ৫৪ বছরে এই প্রথমবার । ব্ল্যাক আউট হল শত্রুর বিমান এসে যদি হামলা করে তাহলে সেখানে যাতে কম ক্ষতি হয় সেদিকে নজর রাখা। শত্রুর বিমান যাতে রাতের বেলা কোনও আলো দেখতে না পারে সেজন্য করে দেওয়া হতে পারে ব্ল্যাক আউট। এই পরিস্থিতিতে রাস্তার আলো, বিভিন্ন কারখানার আলো, যানবাহনের আলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে দেশের প্রধান শহরগুলি এবং বড় বাজারগুলিতে এই নির্দেশিকা সবার আগে কার্যকর করা হবে। দেশের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমন একটি বড় মহড়া হতে চলেছে, যেখানে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।

ব্ল্যাকআউটের সময় কী নিষিদ্ধ, কী অনুমোদিত?
ব্ল্যাকআউট চলাকালীন কোনও বাড়িতে এমনভাবে আলো ব্যবহার করা যাবে না যাতে সেটি বাইরে উজ্জ্বলতা ছড়ায়। রাস্তায় আলো থাকলেও, সেটি এমনভাবে দিতে হবে যাতে তা কেবল নিচের দিকে পড়ে এবং ২৫ ওয়াট বাল্বের আলোর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল না হয়।
যানবাহনের ক্ষেত্রে : যানবাহনের আলো ঢেকে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে সরকারি নথিতে। এক, কাঁচের ওপর বাদামি কাগজ চাপিয়ে দেওয়া। দুই কাগজের ডিস্ক দিয়ে হেডলাইট ঢেকে ছোট একটি সরু ফাঁক রাখা। এমনকি হাতের টর্চ পর্যন্ত কাগজে মুড়ে রাখতে হবে, যাতে কোনওভাবে অতিরিক্ত আলো না বেরোয়।
বিমান হামলার সতর্কবার্তা কীভাবে কাজ করে?
আকাশপথে শত্রুপক্ষের গতিবিধি নজরে রাখে বায়ুসেনা। সন্দেহজনক বিমান চিহ্নিত হলেই সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল সেন্টারে অবগত করা হয়। সেখান থেকে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।
চার ধরনের সতর্কবার্তা প্রচলিত:
চার ধরণের এয়ার রেড করা হবে। প্রথমত, হলুদ এয়ার রেড। দ্বিতীয়ত লাল এয়ার রেড, তৃতীয়ত গ্রিন এয়ার রেড এবং চতুর্থত হোয়াইট এয়ার রেড। শত্রুর বিমানের গতিবিধি লক্ষ্য করে এগুলি দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তালিকায় রয়েছে বাংলার ৩১টি জায়গা-
কোচবিহার,দার্জিলিং,জলপাইগুড়ি,শিলিগুড়ি,মালদহ,বৃহত্তর কলকাতা,দুর্গাপুর,হলদিয়া,হাসিমারা,খড়্গপুর,বার্নপুর-আসানসোল,ফরাক্কা-খেজুরিয়াঘাট,চিত্তরঞ্জন,বালুরঘাট,আলিপুরদুয়ার
রায়গঞ্জ,ইসলামপুর,দিনহাটা,মেখলিগঞ্জ,মাথাভাঙা,কালিম্পং,জলঢাকা
কার্শিয়াং,কোলাঘাট,বর্ধমান,বীরভূম,হাওড়া,হুগলি,মুর্শিদাবাদ