আজ বাঙালির প্রাণের কবির জন্মদিন। হ্যাঁ, জীবনানন্দ দাশ। বড্ড মন ছোঁয়া কথা বলে গিয়েছিলেন যে। 'বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি...' সত্যিই তো, এরপর আর পৃথিবীর রূপ দেখে কী হবে! আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর পাশাপাশি, জেনে নিন কিছু তথ্য, যেগুলো আপনি হয়তো জানেন। জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতকের এক বাস্তবধর্মী কবি। যাঁর লেখার মধ্যে ছিল মৌলিকত্ব। ১৭ ফেব্রুয়ারি ওপার বাংলায় বরিশালে জন্ম কবির। বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি খড়গপুর কলেজেও ২ বছর তিনি অধ্যাপনার কাজ করেছেন। জীবনানন্দ দাশের ডাক নাম ছিল মিলু।
১৯০৮ সালের জানুয়ারিতে আট বছরের মিলুকে ব্রজমোহন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করানো হয়। ইস্কুলে থাকাকালীন সময়েই তার বাংলা ও ইংরেজিতে রচনার সূচনা হয়, এছাড়াও ছবি আঁকার দিকেও তার ঝোঁক ছিল। ১৯১৫ সালে তিনি ব্রজমোহন বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগ সহ ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। দু' বছর পর ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় পূর্বের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটান এবং অতঃপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার উদ্দেশ্যে বরিশাল ত্যাগ করেন।
কবি নিজেই বলে গেছেন....
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমূলের ডালে।
হয়তো খৈয়ের ধান সরাতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে।
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙ্গা বায়; রাঙ্গা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক; আমারে পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।
আজকের দিনে তাঁর এই লাইনগুলো আর একবার মনে মনে গুন গুন করে নিলে বাঙালি হিসেবে গর্বিত লাগবে।