Skip to content

বান্ধবীকে হোটেলে ডেকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারের জেল হেফাজত !

মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদাতা : গত ৮ অক্টোবর,কলকাতার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা এক জুনিয়র ডাক্তার প্রেমের প্রস্তাব দেন কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকার এক মহিলা কে। ডেকে পাঠান বহরমপুরের একটি হোটেলে। সেখানেই পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে প্রথমে মহিলা কে বেহুঁশ করে ও তারপর ধর্ষণ করে। ওই মহিলার অভিযোগ, এর পর ২ ডিসেম্বর একই ভাবে অভিযুক্ত চিকিৎসক ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন। গত ৯ ডিসেম্বর, অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় ধর্ষণ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। এরপরই কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। জামিনের আবেদন খারিজ করেন কলকাতা হাই কোর্ট। শেষে বৃহস্পতিবার বহরমপুর জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। সওয়াল-জবাব শেষে বিচারকের নির্দেশে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ১৪ দিন জেল হেফাজত দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে খুশি ‘নির্যাতিতা’। তিনি বলেন, ‘‘উনি (অভিযুক্ত চিকিৎসক) প্রভাবশালী বলে ব্যাপারটা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে মনে অনেকটা বিশ্বাস ফিরে পেলাম।’’ অন্যদিকে আদালত সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্ত চিকিৎসক আদালতে স্বীকার করেছেন ঘটনার কথাটি। পাশাপাশি, তিনি যে ক্ষমাও চেয়েছেন হোয়াট্‌সঅ্যাপ মেসেজে, তার একটি স্ক্রিনশট বিচারকের কাছে পেশ করেছেন তাঁর আইনজীবী। তবে তাঁর প্রশ্ন, ৮ অক্টোবরের ঘটনার প্রায় দু’মাস পর কেন পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযোগকারিণী? অভিযুক্ত চিকিৎসকের আইনজীবী মনিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি দু’মাস পরে কেন অভিযোগ করলেন, সেটা নিয়ে আমরা নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়েছিলাম। বিষয়টি কলকাতা উচ্চ আদালতের নজরদারিতে আছে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’’

Latest