নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্রের নাগপুরে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের জুলপিয়ার যুবক বাবাই সরদার। বাংলায় কথা বলা বলার জন্য বাংলাদেশি বলে পাকড়াও করেছিল নাগপুরের পুলিশ। তারপরই থানায় নিয়ে গিয়ে শুরু হয় শুরু হয় অত্যাচার চলে বেধড়ক মারধর। রাখা হয় ক্যাম্পে। যুবক বাবাই জানিয়েছেন,পাকড়াও করার পর থেকেই শুরু হইয় পুলিশের একাধিক প্রশ্ন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, ভারতের নাগরিক। আসল পরিচয়পত্র সব থাকলেও পুলিশ কিছু শুনতে চায়নি বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তকমাও দেওয়া হয়। পরে নাগপুর থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণপুরের বাড়িতে তাঁকে পাকড়াওয়ের খবর যায়। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। এরপরই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলের চার প্রতিনিধি ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা নাগপুর পৌঁছান। নাগপুর পুলিশ নথিপত্র দেখে বাবাইকে ক্যাম্প থেকে ছেড়ে দেয়। বাবাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে নামে এবং রাতে বিষ্ণপুরের বাড়িতে ফেরেন। ছেলেকে দেখে যেন প্রাণ ফিরে পান বাবা-মা। বাবাই সরদার জানান, “মহারাষ্ট্র পুলিশ আমার উপর অনেক অত্যাচার করেছে, মেরেছে। অনেক কষ্টে ক্যাম্প থেকে ছাড়া পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, পুলিশ যাঁরা আমাকে আনতে গিয়েছিলেন,সকলকে ধন্যবাদ।” তিনি আরও বলেন, “আর বাইরে যাব না আমি। আমার বাংলাতেই আমি থাকব।”
মহারাষ্ট্রে আটকে রেখে বাঙালি যুবককে বেধড়ক মারধর,সাংসদ অভিষেকের সহায়তায় শেষে ফিরলেন বাড়ি!
