Skip to content

বর্ষার পূর্বে নদী ও নিকাশী খাল সংস্কারের গতিবৃদ্ধি এবং ভেঙে যাওয়া কাঁসাইয়ের নদীবাঁধ শক্তপোক্তভাবে নির্মাণের দাবীতে ২২ মে জেলা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভের ডাক বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির!

পূর্ব মেদিনীপুর নারায়ন চন্দ্র নায়ক : রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তমত নো কষ্ট পদ্ধতিতে খনিজ দপ্তরের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড(ডব্লিউ বি এম ডি টি সি এল)কর্তৃপক্ষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কেলেঘাই নদী ও সোয়াদিঘী,গঙ্গাখালি দুটি বড় খাল সংস্কারে হাত দিয়েছে। অন্যদিকে ঐ একই পদ্ধতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ পায়রাটুঙী-দেনান-টোপা সহ বেশ কয়েকটি ছোট-বড়-মাঝারি খাল সংস্কারে হাত দিয়েছে। কিন্তু নানা সমস্যা ও গড়ি-মসির কারণে সংস্কারের কাজের গতি খুবই শ্লথ। বর্ষা আসতে আর মাত্র এক মাস বাকি। এছাড়াও গত বর্ষার সময় কাঁসাইয়ের নদীবাঁধের যে অংশগুলি ভেঙে গিয়েছিল,সেই ভাঙা অংশগুলিতে শক্তপোক্তভাবে বাধার কাজও চলছে ধীরগতিতে।

ফলস্বরূপ আগামী বর্ষায় একটু বেশী বৃষ্টি হলে ফের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জলবন্দী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেচ দপ্তরের কার্টিং চার্ট অনুসারে দ্রুত নদী ও খালগুলি সংস্কারের কাজের গতি বাড়ানো,সোয়াদিঘী সহ বিভিন্ন বড় লকগেটের সাটার বর্ষার পূর্বে মেরামত ও তোলা-ফেলার জন্য বৈদ্যুতিকীকরণ,কাঁসাইয়ের মানুর-জঁদরা-গড়পুরষোত্তমপুর সহ বিভিন্ন ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধ শক্তপোক্তভাবে অবিলম্বে নির্মানের দাবীতে সম্প্রতি জেলা শাসক ও সেচ দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও বিশেষ কোন কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় অবশেষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি ২২শে মে জেলাশাসক ও সেচ দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিল।কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক জানান,গত বর্ষার পর জেলা শাসক ও সেচ দপ্তরের জেলা আধিকারিকেরা কয়েকটি নিকাশী খাল পরিদর্শনের পর জেলাস্তরে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জেলার ১৩ টি খাল সংস্কারের উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয়,এখনো পর্যন্ত একটি খালও পূর্ণ সংস্কার তো দূরের কথা,অর্ধেক অংশও সংস্কার হয়নি। ওই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি,সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতি,কৃষক সংগ্রাম পরিষদ সহ কমিটির বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে উক্ত কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

Latest