নিজস্ব সংবাদদাতা : উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে নাগরাকাটার বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আচমকা তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে লাঠি, জুতো এবং পাথর ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে গিয়ে খগেন মুর্মু গুরুতরভাবে আহত হন। তাঁর চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শঙ্কর ঘোষকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খণ্ড বাহালে উমেশ গণপত জানিয়েছে, দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটির রিপোর্ট চেয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওমপ্রকাশ বিড়লা। পাশাপাশি, দ্রুত তদন্তে অগ্রগতি না হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তিনি শিলিগুড়িতে এসে বলেন, একজন সাংসদের উপর হামলা শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংবিধানিক ব্যবস্থার উপর আঘাত। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মুর সঙ্গে দেখাও করেন। খগেন মুর্মুর উপর সেই হামলার ঘটনায় গ্রেফতার দুই। নাগরাকাটা এবং জয়গাঁও থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিল বিজেপি। বাকি ৬ জনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।