নিজস্ব সংবাদদাতা : শান্তির খোঁজে শান্তিনিকেতন যান না, এমন বাঙালি এ বঙ্গে অন্তত পাওয়া দুষ্কর৷ লালমাটির দেশে রবিঠাকুরের আপন গাঁয়ে নীল আকাশে ধরা দেয় মেঘমল্লারের দল৷ গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ আপনার মন ভোলাবেই৷ সোনাঝুরি হল বোলপুরের শান্তিনিকেতনের খোয়াই অঞ্চলের একটি ছোট জঙ্গল। খোয়াই হল ছোট ছোট গিরিখাতের একটি খরখরে ল্যান্ডস্কেপ যা লাল ল্যাটারাইট মাটিতে বাতাস এবং জলের ক্রমাগত ক্ষয় দ্বারা গঠিত। বনটি মূলত সোনাঝুরি গাছ নিয়ে গঠিত, যার আক্ষরিক অর্থ "সোনার ফোঁটা" কারণ শীতকালে গাছগুলি তাদের সোনার ফুল ঝরে এবং পুরো বন সোনার বৃষ্টি শুরু করে - এটি একটি আকর্ষণীয় সাইট!আপনি সোনাঝুরি বনের মধ্যে ছোট ছোট গিরিখাত এবং জলাশয়ে পদচারণা করতে পারেন বা কাছাকাছি আদিবাসী (উপজাতি) গ্রামগুলিতে তাদের দেয়ালে রঙিন মোটিফ দিয়ে সাজানো সুন্দর মাটির বাড়িগুলিতে বিস্মিত হতে পারেন।সোনাঝুরি তার হাটের (সাপ্তাহিক বাজার) জন্যও বিখ্যাত যা খোয়াই বোনের অন্ন্যা হাট বা শনিবারের হাট নামে পরিচিত। হাটটি প্রতি শনিবার বিকেল 3:00 PM থেকে 6:00 PM এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ( বর্তমানে এই হাটটি প্রতিদিনই বসে )স্থানীয় কারিগরদের কিছু সবচেয়ে খাঁটি পণ্য পাওয়া যাবে যার মধ্যে রয়েছে আদিবাসী গয়না, গৃহসজ্জার জাতিগত আইটেম, স্থানীয় তাঁতিদের ডিজাইন করা পোশাক, বাদ্যযন্ত্র এবং নিশ্চিতভাবে কিছু স্থানীয় বাঙালি খাবার যেমন পিঠে, পুলি, মালপোয়া এবং আরও অনেক কিছু।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশ্রম – শান্তিনিকেতন সোনাঝুরি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এবং কোপাই নদীর মতো আরও কয়েকটি আকর্ষণ, বল্লভপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যও এখান থেকে 10 মিনিটের দূরত্বে। সোনাঝুরি বন থেকে প্রায় 08 কিলোমিটার দূরে বিখ্যাত কঙ্কালীতলা মন্দির, যা সতীর ৫১ টি শক্তিপীঠের মধ্যে গণনা করা হয়।সোনাঝুরীতে আমাদের সমস্ত রিসর্ট হাট এলাকার খুব কাছে অবস্থিত এবং সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।
কীভাবে যাবেন –
বসন্ত উৎসব কিংবা পৌষ মেলায় তো হামেশাই ভিড় থাকে৷ তবে, বৃষ্টির দিনে সোনাঝুরির রূপ একান্তে উপভোগ করা যায়৷
- বোলপুর বা প্রান্তিক স্টেশনে নেমে অটো রিক্সা বা পায়ে টানা রিক্সা করে যাওয়া যায় সোনাঝুড়িতে৷
- বাস সার্ভিস তো রয়েছেই, অনেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করেও যান৷
কোথায় থাকবেন –
হামেশা পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে৷ তাই হোটেল পরিষেবা বেশ উন্নত সোনাঝুরির কাছে৷ চাইলে শান্তিনিকেতনেও থাকা যেতে পারে৷.