Skip to content

দিল্লির পথকুকুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায়: বন্ধ্যাত্বকরণে জোর, পূর্বের নির্দেশ স্থগিত!

কোনও শর্তেই রাস্তায় প্রকাশ্যে কুকুরদের খাওয়ানো যাবে না। পরিবর্তে প্রশাসনকে এর দায়িত্ব নিতে হবে। দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় পুরসভা ধরে ধরে কুকুরদের খাওয়ানোর স্থান নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। এর পরেও যাঁরা রাস্তায় খাবার দেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে.......

দিল্লি: দেশের রাজধানী দিল্লিতে পথকুকুরদের সংখ্যা এবং তাদের আচরণ ঘিরে নানা বিতর্কের মাঝে সুপ্রিম কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। আদালত পূর্ববর্তী একটি নির্দেশ স্থগিত করে জানিয়েছে, এখন থেকে পথকুকুরদের দমন নয়, বরং তাদের বন্ধ্যাত্বকরণের উপরই গুরুত্ব দিতে হবে। আদালতের মতে, এই কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে পথকুকুরদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং আক্রমণাত্মক আচরণও কমবে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানায়,পথকুকুরদের নির্মূল বা স্থানচ্যুত করার কোনও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের আধিকারিকদের বলা হয়েছে, প্রশাসন দিল্লির রাস্তা থেকে পথকুকুরদের তুলে নিয়ে যাবে আশ্রয়কেন্দ্রে। নিয়ে গিয়ে সেই কুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণ এবং উপযুক্ত প্রতিষেধকের বন্দোবস্ত করতে হবে। তা হয়ে গেলে আবার কুকুরগুলিকে নির্দিষ্ট স্থানে ফিরিয়ে দিয়ে যেতে হবে। যে সমস্ত কুকুর রেবিস আক্রান্ত বা আগ্রাসী স্বভাবের, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রেই রেখে দিতে হবে। আর রাস্তায় ফেরানো যাবে না। এই কাজ করতে গিয়ে কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। আদালত তারই সাথে জানিয়েছে, কোনও শর্তেই রাস্তায় প্রকাশ্যে কুকুরদের খাওয়ানো যাবে না। পরিবর্তে প্রশাসনকে এর দায়িত্ব নিতে হবে। দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় পুরসভা ধরে ধরে কুকুরদের খাওয়ানোর স্থান নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। এর পরেও যাঁরা রাস্তায় খাবার দেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে। এ নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য চালু করা হবে হেল্পলাইন নম্বরও। রাস্তার কোনও কুকুরকে পোষ্য হিসাবে গ্রহণ করতে চাইলে দিল্লি পুরসভায় তার জন্য আবেদন জানানো যাবে। এই মামলার পরিধি দেশব্যাপী বিস্তৃত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিভিন্ন পশুপালন কেন্দ্র, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নোটিস জারি করা হয়েছে। কারা রাস্তা থেকে কুকুর ধরবেন? কী ভাবে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে? পর্যাপ্ত কর্মী আছেন কি না? তা নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে হলফনামা দাখিল করতে বলেছে আদালত। আট সপ্তাহ পরে আবার এই মামলার শুনানি।

Latest