নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রয়াত কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভিএস অচ্যুতানন্দন ৷ বয়স হয়েছিল ১০১বছর ৷ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই প্রবীণ বামনেতা ৷ তিরুঅনন্তপুরমের একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল ৷ সেখানেই সোমবার দুপুর ৩:২০ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় এই প্রবীণ নেতা ৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আরও অনেকে ৷ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফেও শোকবার্তা জারি করা হয়েছে ৷স্বাধীনতা সংগ্রামী, সিপিআইএম পলিটব্যুরো প্রাক্তন সদস্য ও কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী,সাথী ভি এস অচ্যুতানন্দনের শেষ যাত্রা।একেজি সেন্টার, তিরুবনন্তপুরম।...ভিএস ছিলেন একজন বিরতিহীন স্ট্রাইকার। শ্রেণীর উন্নতিতে মৌলিক শক্তি দেওয়া যোদ্ধা। কমরেড ভিএস ছিলেন দৃঢ়চেতা কমিউনিস্ট যা কেরালার অগণিত প্রতিবাদ সংগ্রামকে সংজ্ঞায়িত করেছে এবং নেতৃত্ব দিয়েছে। ভিএস যে কোন সমাজকে উত্তাল করতে সক্ষম হয়েছেন।

কমরেড ভি এস ছিলেন যে কোন সংকট মোকাবেলার শক্তি। ১৯২৩ সালের ২০ অক্টোবর কেরলের আলেপ্পিতে তাঁর জন্ম। সিপিএমের সংগঠনের পাশাপাশি সংসদীয় রাজনীতিতে ভিএস অচ্যুতানন্দনের অবদান মনে রাখার মতো ৷ বিধায়ক হিসাবে তিনি কেরল বিধানসভায় ছিলেন ৩৪ বছর ৭ মাস ২১দিন। ভগবানের আপন দেশ এতদিন কেউ বিধায়ক থাকেননি ৷ ২০০৬থেকে ২০১১ পর্যন্ত কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা অচ্যুতানন্দন সব মিলিয়ে ১৪ বছর কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও ছিলেন। বাংলার সিপিএম নেতাদের সঙ্গে তাঁর বরাবর সুসম্পর্ক ছিল ৷ বিশেষ করে জ্যোতি বসুর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল সর্বজনবিদিত ৷ উল্লেখ্য প্রায় দু'দশকেরও বেশি সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকা জ্যোতি বসুও ছিলেন এই নবরত্নের অন্যতম ৷ এছাড়া পি সৌন্দর্য থেকে শুরু করে ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ ও প্রমোদ দাশগুপ্তরাও ছিলেন এই তালিকায় ৷ বিভিন্ন সময়ে বাংলার বামনেতাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি ৷ ২০১৬ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার পথে হাঁটে সিপিএম ৷ সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেম কেরলের একাধিক সিপিএম নেতা ৷ তবে তাঁদের থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে নিয়ে বাংলার নেতাদের পাশে দাঁড়ান ৷