Skip to content

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অঙ্গ চন্দ্রেশ্বর খালের সম্প্রসারণ!

নিজস্ব সংবাদদাতা : চন্দ্রেশ্বর খাল নতুন করে খনন করে সম্প্রসারণ করা হলে দাসপুরে ক্ষতি তো কিছুই হবে না, বরং অনেক লাভ হবে।কংসাবতী নদীর জলের চাপ কমানোর জন্য গত শতাব্দীর সাতের দশকে দাসপুর-২ ব্লকের গোপীগঞ্জ এলাকার রূপনারায়ণ নদ থেকে দাসপুর-১ ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত একটি খাল খনন করা হয়। কিন্তু শেষমেশ সেই খাল কংসাবতীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়নি। বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত খনন হয়ে অর্ধসমাপ্তই রয়ে যায়।
বর্তমানে সেই চন্দ্রেশ্বর খালকে পাঁচ কিলোমিটার ৮০০ মিটার সম্প্রসারিত করে দাসপুর-১ ব্লকের গুড়লিতে একটি নতুন স্লুইস গেটের মাধ্যমে শিলাবতী নদীর সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্প নিয়ে কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি একটি সুচিন্তিত এবং জনস্বার্থমূলক প্রকল্প। যা ঘাটাল পুরসভার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়ক হবে।সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররাও জানান, শিলাবতী নদীর জলপ্রবাহের কারণে ঘাটাল পুরসভা প্রায়ই প্লাবিত হয়। চন্দ্রেশ্বর খালের সম্প্রসারণ এবং শিলাবতীর সঙ্গে সংযুক্তির ফলে এই জলপ্রবাহের একটি অংশ দ্রুত রূপনারায়ণ নদীতে প্রবাহিত হবে, যা বন্যার প্রকোপ কমাতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে বর্ষাকালে শিলাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে যে প্লাবনের আশঙ্কা থাকে, তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। তবে, যাদের জমি বা সম্পত্তি খাল সম্প্রসারণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাদের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই প্রকল্প নিয়ে কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কিন্তু খাল সম্প্রসারণ ও সংযুক্তকরণ বাস্তবায়িত হলে ঘাটাল পুরসভার বাসিন্দারা বন্যা থেকে রক্ষা পাবেন। কৃষিজমির জলাবদ্ধতা কমবে এবং সামগ্রিকভাবে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। তাই, বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে প্রকল্পের সঠিক দিকগুলো বোঝা এবং উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করাই সকলের উচিত।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ

Latest