Skip to content

বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া জেলার একাংশে!

নিজস্ব সংবাদদাতা: টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের তিন জেলায় — বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। যার জেরে ভাঙল সেতু। তার উপর ডিভিসি একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়তে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া জেলার একাংশে। রাস্তা-ঘরদোরও ডুবেছে জলের তলায়। ভেঙেছে সেতু। বিদ্যুতের তার ছিঁড়েও প্রাণ গেছে এক প্রৌঢ়ার। এরই মধ্যে বিদ্যুতের হাইটেনশন তার ছিঁড়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার সাহাপুর মাজিপাড়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ বছরের রেবা মাজির। এই পরিস্থিতিতে তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে একাধিক ত্রাণ শিবির। বিপর্যয়ের আশঙ্কায় বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে।এত ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসতে শুরু করেছে বাঁকুড়ার দারকেশ্বর, কংসাবতী, শিলাবতী, জয়পন্ডা সহ অন্যান্য নদীগুলি। সর্বাধিক খারাপ অবস্থা জয়পন্ডা নদীর। নদীর জল পাড় ছাপিয়ে আজ সকাল থেকে ঢুকতে শুরু করে নদী তীরবর্তী তালডাংরা ব্লকের পাটতেঁতুল ও বাঁশগড় গ্রামে।

একাধিক ত্রাণ শিবির

উত্তরোত্তর জলস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে থাকায় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচমুড়া হাইস্কুলের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে। জমা জলে তালডাংরা ব্লকের আধকড়া গ্রামের একাংশ ডুবে যাওয়ায় সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আধকড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে। স্থানীয় রাধানগর গ্রামের একাংশেও জল ঢুকে পড়ায় স্থানীয় রাধানগর কমিউনিটি সেন্টারে খোলা হয় অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। এছাড়াও তালডাংরা ব্লকের কুন্ডুলিয়া ও দেউলভিড়া গ্রামেও অস্থায়ী ত্রান শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এলাকার দুর্গত মানুষদের।

তবে যে হারে বাঁকুড়ার দক্ষিণ প্রান্তে বৃষ্টি হয়েছে ততটা পরিমাণ বৃষ্টি উত্তর বাঁকুড়ার বড়জোড়া, মেজিয়া, গঙ্গাজলঘাটি, শালতোড়া সহ দামোদর অববাহিকায় না হওয়ায় দামোদর, শালী নদীতে জলের পরিমাণ বাড়েনি। তবে নিম্নচাপ ঝাড়খন্ডে সরে যাওয়া দামোদর নদে জলের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঝাড়খন্ডে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে ডিভিসির পাঞ্চেৎ ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ সময় সময় বাড়াতে পারে।

কদম দেউলি জলাধারে প্রচুর পরিমাণে জলোচ্ছ্বাস

Latest