নিজস্ব সংবাদদাতা : শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের ২২টি ও ঝাড়খণ্ডের ১২টি জায়গায় শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডির অভিযান। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার সল্টলেক, আসানসোল, দুর্গাপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়খণ্ড, হাওড়ার একাধিক জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী, ঠিকাদার।অন্যদিকে শিল্প শহর দুর্গাপুরের একাধিক জায়গায় ইডির অভিযান নিয়ে এদিন সকাল থেকে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিধাননগরের সালারপুরিয়া গার্ডেনিয়া আবাসন। জানা গেছে ওই আবাসনে ব্যবসায়ী নারায়ণ খড়কা ও তার অ্যাকাউন্টেন্ট সুশান্ত গোস্বামীর ফ্ল্যাট রয়েছে। এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ দুটি ফ্ল্যাটেই হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর নারায়ণ খড়কার ফ্ল্যাট বন্ধ থাকায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দুর্গাপুরের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের ঘটনায় উঠে এসেছিল এই খড়কার নাম। শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন রাজু। এছাড়া বিধাননগরের সেক্টর টুসিতে এক ব্যক্তির বাড়িতেও এদিন হানা দেয় ইডি।এদিকে বিধানগরের পাশাপাশি এদিন সিটিসেন্টারের ডক্টরস কলোনি সংলগ্ন ব্যবসায়ী রামধানি জয়সওয়ালের বাড়িতেও অভিযান চালায় ইডি। এছাড়াও সিটিসেন্টারের মধুসূদন পথে ব্যবসায়ী লোকেশ সিং-এর অফিসেও চলে ইডি অভিযান ।

দুর্গাপুরের পাশাপাশি এদিন ভোরে পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি গ্রামে যুধিষ্ঠীর ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয় অভিযান। প্রসঙ্গত এই যুধিষ্ঠীর ঘোষের বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লা ও বালি কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তিনি কয়লা কাণ্ডে গ্রেফতারও হয়েছেন। পরে জামিনে ছাড়া পান বলে খবর।