নিজস্ব সংবাদাতা : কথায় আছে না, চেষ্টা থাকলে কি হয় না , আজকে এমন একজন ই কথা শুনবো।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা তুহিন দে। শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক। হাত পা সেরকম ভাবে কাজ করেনা। বসেন হুইল চেয়ারে। যদিও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনও বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি যার কাছে পরীক্ষা দেন মুখেই কলম এবং পেনসিল ধরে। অন্যদিকে আবার কম্পিউটারে কাজ করার সময় কি বোর্ড টাইপ করেন মুখে কলম দিয়ে। ইচ্ছে আইআইটি খড়্গপুর থেকে এমটেক এবং পিএইচডি করবে, নিচ্ছেন প্রস্তুতি। তাই সদ্য আমেরিকার একটি ব্যাঙ্ক এবং একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে বছরে ৫০ লক্ষ টাকা চাকরির সুযোগ এসেছিল। সম্পূর্ণ ব্যাপারটিকেই না বলেদেন। ৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। সেই উপলক্ষে তুহিনের হাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্সি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কস্’ সম্মান। তুহিন দে বলেন, ‘‘আমি মুখ দিয়েই পেন বা পেনসিল দিয়ে লিখি। কোনও সমস্যা হয় না। আর পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত সময়ও নিই না। তবে পরীক্ষার সময় কাগজ নেমে গেলে বা পাতা ওল্টানোর সময় শিক্ষকেরা সাহায্য করেছেন। ছবি আঁকা হোক বা কম্পিউটার চালানো, কোনও কিছুতেই অসুবিধা হয় না।’