পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : হাউস ফর অলের তৃতীয় দফার বাড়ির কাজের অর্থ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে তুলে নিলেও প্রায় দেড়মাস ধরে বাড়ির কাজ করছেনা ঠিকাদার। এমনই অভিযোগ মেদিনীপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপুকুর এলাকায় এক ব্যাক্তির। তিনি জানান, গত ২৪ শে মে তার হাউস ফর অল বাড়ি তৈরীর তৃতীয় দফার ১লাখ ২৫ হাজার টাকা তার ব্যাঙ্ক একাউন্টে ঢোকে। সেই টাকা ২৭মে একাউন্ট থেকে তুলে নেয় বাড়ির কাজের ঠিকাদার। কিন্তু তারপরেও দেড়মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও শুরু হলো না বাড়ির কাজ। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে মেদিনীপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপুকুর এলাকায় ঐ উপভোক্তা। উপভোক্তার অভিযোগ, বাড়ির টাকা এসে গেছে কন্ট্রাক্টরা টাকা তুলে নিয়েছে কিন্তু অর্ধেক কাজ হয়ে বাড়ি পড়ে রয়েছে। টাকা তুলে নেবার পর উপভোক্তা ঠিকাদারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন আর ধরছেনা ঐ ঠিকাদার। ফলে কবে শুরু হবে বাড়ির কাজ, সেই দুশ্চিন্তায় হাউস ফর অলের উপভোক্তারা। তারা কেউ ভাড়া বাড়িতে কেউ অর্থের অভাবে ত্রিপল খাটিয়ে বসবাস করছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রায় বছরখানেক কেটে যাবার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি নির্মাণের কাজ আরম্ভ করার জন্য হাউস ফর অলের টাকা বরাদ্দ করেন । তাতে উপভোক্তরা কিছুটা হলে স্বস্তি পায় বাড়ির কাজ আরম্ভ হচ্ছে বলে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দ্রুত কাজ করার জন্য। কিন্তু তা আর হচ্ছে কোথায়, প্রশ্ন উপভোক্তাদের। কিছু ঠিকাদারদের জন্য বাড়ির নির্মাণ কাজ আটকে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ইন্দ্রজিৎ পানীগ্রাহী। তবে তিনি এও জানান, এই সমস্যা শুধু একটি ওয়ার্ডে নয়, মেদিনীপুর পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডেই কমবেশী এই সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনিও পুরকর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে জানান তিনি। তবে দেখার বিষয় কবে বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হবে, উপভোক্তারা বর্ষার আগে তাদের এই স্বপ্নের বাড়িতে ঢুকতে পারবে তো, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।