অস্ট্রেলিয়া (৩৩৮|৪৯.৫)
ভারত (৩৪১/৫)
নিজস্ব সংবাদদাতা : আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছিল মেয়েটা। খুব ছোট বয়সে একবগ্গা জেদের সওয়ারি হয়েছিল সে। নিজের ঘরের মাঠে এদিন হাজার ওয়াটের আলো জ্বালানোর পর থেকে সার্চ ইঞ্জিনে তিনিই ট্রেন্ডিং। প্রবল পরাক্রমশালী অজিদের ঔদ্ধত্য চূর্ণ করার ইনিংস চাক্ষুষ করেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। স্কোর বোর্ড বলছে, শুধু কঠিন নয়, তীব্র চাপেরও। নার্ভ একবার ফেল করলে হুড়মুড়িয়ে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

৩৩৯ রানের পাহাড়প্রমাণ টার্গেট।মাত্র ২৫ বছর বয়স। হোক না ঘরের মাঠ, প্রতিপক্ষ যে অস্ট্রেলিয়া! মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। তাও যে মিলছে না! উল্টে নামতে হবে তিন নম্বরে। যিনি পারেন, তিনি সব জায়গায় পারেন। জেমাইমা রড্রিগস যেন তাই দেখিয়ে গেলেন। অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড নামের মেয়েটা এই বিশ্বকাপের অন্যতম সফল বোলার। ঝুলি কখনও শূন্য থাকেনি। ৪৭ ওভারে তাঁকেই বেছে নিলেন। তীক্ষ্ণ স্কুপটা থেকে চার তুললেন প্রথমে। দ্বিতীয় বাউন্ডারি এল কভারের উপর দিয়ে।

সবুজ ঘাসে যেন নিজের নাম লিখছিলেন জেমি! একবার, দু’বার, বারবার! দ্বিতীয় ওভারে ব্যাট করতে নামা ২৫ বছরের মেয়ে অবলীলায় সেঞ্চুরি করে গেলেন।মা-বাবারা বলেন, ‘কথায় কথায় কাঁদবে না, মনের জোরে লড়াই করে যাবে’। লড়াই এদিন করলেন জেমিমা, ১৪০ কোটি ভারতবাসীর আবেগ নিজের কাঁধে নিয়ে লড়লেন। আর সেই লড়াইয়ের প্রভাব দেখা গেল ম্যাচের পর।
 
         
     
    