নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবারের মতো এবারও স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বপ্ন দেখালেন ‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’ হিসাবে ভারতকে গড়ে তোলার। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, তাঁর সরকার মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের জীবন পরিবর্তনের লক্ষ্যে বড় সংস্কারের মাধ্যমে কোনও ক্রমে বেঁচে থাকার মানসিকতা ভাঙতে কাজ করেছে। প্রথমে দেশ, এই মন্ত্রেই কাজ করছে তাঁর সরকার, ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে জানালেন প্রধানমন্ত্রী ৷ পরে পতাকা উত্তোলনের পর মোদি বলেন, "চ্যালেঞ্জ এবং সম্পদের ঘাটতি থাকতে পারে তবে জনগণ তাদের লক্ষ্যে একত্রিত হলে তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সব প্রতিকূলতাও তারা কাটিয়ে উঠতে পারে।" ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত-এর জন্য তাঁর লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান যে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা অ্যাজেন্ডার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার, সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচারাভিযান, ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন-সহ এই ধারণাগুলির অনেকগুলিই তিনি বর্ণনা করেছেন।
প্রধনামন্ত্রী মোদি আরও বলেন, "গত ১০বছরে,১০ কোটি মহিলা মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগদান করেছেন।১০কোটি মহিলা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। যখন মহিলারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন তখন তারা একটি পরিবারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যবস্থার অংশ হয়ে ওঠেন যা সামাজিক পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায় ৷ এখন পর্যন্ত দেশে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ৯ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।" নিজের সরকারের নীতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বললেন, সংগঠিত উন্নয়নের লক্ষ্যে, দ্রুতগতিতে অগ্রগতির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট নীতিতে চলছে সরকার। তাঁর কথায়, “বিশ্বস্তরে ভারতের যোগদান বাড়ছে। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার বাড়ছে। প্রত্যেক ব্যক্তির আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। ভারতের গতি দ্রুত, ভারতের স্বপ্নে দম আছে।” মোদির কথায়, “বিকশিত ভারত মিশনের অন্যতম লক্ষ্য মানুষের জীবনে সরকারের দখলদারি কমানো। সেই উদ্দেশে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার। মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।” বিকশিত ভারতের জন্য সাধারণ দেশবাসীও নিজেদের পরামর্শ সরকারকে পাঠাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।