ভারত: ১১৯/১০ (ঋষভ ৪২, অক্ষর ২০, নাসিম ২৩/২)
পাকিস্তান: ১১৩/৭ (রিজওয়ান ৩১, ওয়াসিম ১৫, বুমরাহ ১৪/৩)
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বকাপেও তো দেখা গিয়েছে কত রুদ্ধশ্বাস লড়াই। সেখানে চিরকাল আধিপত্য ছিল ভারতের। এমনকী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এতদিন এগিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটিং ব্যর্থতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নিল ভারত। সৌজন্যে বুমরাহর দুরন্ত বোলিং। সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন হার্দিকরাও। ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ভারত। সেখান থেকে দলকে ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করছিল ঋষভ আর অক্ষর প্যাটেলের জুটি। কিন্তু নাসিম শাহ আক্রমণে ফিরতেই ক্লিন বোল্ড হয়ে গেলেন অক্ষর (২০)। তার পর শুধু যাওয়া-আসা। সূর্যকুমার (৭) জাদেজা (০), শিবম (৩) সবাই ব্যর্থ। তাও কিছুটা মুখরক্ষার চেষ্টা করেছিলেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু তিনিও ফিরে গেলেন ৪২ রানের মাথায়। আইপিএলের পর এখনও ব্যাটে নিজের ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছেন হার্দিক (৭)। শেষ পর্যন্ত ভারতের ইনিংস থামল মাত্র ১১৯ রানে।কিন্তু তখনও যে ম্যাচ বাকি, তা ফের প্রমাণ করে দিলেন বুমরাহরা। আঁটসাঁট বোলিং করে গেলেন প্রথম থেকেই। পাক ব্যাটাররা কিছুতেই দিশা খুঁজে পেলেন না। সেই মন্থর ব্যাটিংই ডোবাল তাঁদের। প্রথম দিকে উইকেট না পড়লেও রানও উঠছিল। কিন্তু মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন ভারতীয় বোলাররা। বাবর, ফখর জামান, উসমানদের ফিরিয়েও দেন বুমরাহ (১৪/৩), হার্দিকরা। কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন একমাত্র রিজওয়ান। তিনি শিকার হলেন হার্দিকের। শেষ পর্যন্ত ৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। দেখিয়ে দিল ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’।