Skip to content

দিঘার 'জগন্নাথদেব' মন্দির নিয়ে শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা ইসকনের রাধারমণ দাসের!

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর : রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে তৈরি দিঘার জগন্নাথ মন্দির। বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যতিথিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও দ্বারোদঘাটন হয়েছে মন্দিরের। দ্বারোদঘাটনের পর ওই দিনই দশনার্থীর সংখ্যা দু’লক্ষ পার করেছিল। চমৎকার গঠন শৈলী মন্দিরে ভক্তি ভরে জগন্নাথদেবের পুজো দিতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত পড়শি রাজ্য থেকে পুণ্যার্থী। আসলে পুরীর জগন্নাথধামের আদলে দিঘায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শ্রীক্ষেত্র। এই সবের মধ্যেও বিতর্ক দানা বেঁধেছে দিঘায় জগন্নাথধাম নাম নিয়ে। শাস্ত্রজ্ঞদের মতে চারটি ধামের মধ্যে অন্যতম পুরীর জগন্নাথধাম। তাই বলে একই নামের জগন্নাথ মন্দির দিঘাতে কি ভাবে হওয়া সম্ভব? সেই বিষয় নিয়ে শাস্ত্রজ্ঞদের একাংশের মধ্যে শাস্ত্র ব্যাখ্যা করে মত জানিয়েছেন হিন্দু ধর্মের অন্যতম কাণ্ডারি ইসকন এর কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। এরই সাথে পুরীর জগন্নাথধামের অন্যতম পুরোহিত রাজেশ দ্বৈতাপতির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন তিনি। রাধারমণ দাস ব্যাখ্যা করেন, "সনাতন হিন্দু শাস্ত্রমতে, মূলত চারটি ধাম আছে আমাদের দেশে – বদ্রীনাথ, পুরীর জগন্নাথধাম, রামেশ্বরম, দ্বারকা। এর বাইরেও ধাম বলে পরিচিত আরও অনেক তীর্থক্ষেত্র। যেমন, বাংলার নবদ্বীপধাম, উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনধাম। আসলে যেখানেই ভগবানের প্রতিষ্ঠা, সেই জায়গা ধাম বলে পরিচিত হয়। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে তো দেবতার অধিষ্ঠান, সেই জায়গা কীভাবে সাধারণ হয়ে থাকবে? তা অবশ্যই পবিত্র স্থান। তাই দিঘার মন্দিরকে যে জগন্নাথধাম বলা হচ্ছে, তাতে কোনও অসুবিধা নেই। সম্পূর্ণ শাস্ত্র মেনেই এই মন্দিরকে জগন্নাথধাম বলা হচ্ছে।” এরপর রাধারমণ দাস কর জোড়ে আরও বলেন, "হাতজোড় করে বলছি, যাঁরা এটা নিয়ে বিতর্ক করছেন, তা পুরোপুরি অযথা। কোনও বিতর্ক করবেন না। এসবের অর্থ ভগবানের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া।"

Latest