অরিন্দম চক্রবর্তী : দাবা খেলা বাড়ায় শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা। তাই খড়গপুরে বসল আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতার আসর। দাবা খেলার মাধ্যমে ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা প্রকাশ পায়। খড়গপুরের সাহাচকে রেডিয়ান্ট দা হেলপিং স্কোয়াড সমাজসেবী সংগঠনের উদ্যোগে দুই দিন ব্যাপী নকআউট দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ৩০ মিনিট প্লাস ৩০ সেকেন্ডের ফরমেটে খেলা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার ও শনিবার ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এই দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে এসেছিলেন খড়্গপুর পৌরসভার চেয়ারপারসন কল্যাণী ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলী খান।

এছাড়া ছিলেন হোটেলের ম্যানেজার উত্তম অধিকারী। খেলা প্রথম দিন চার রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন তিন রাউন্ডের হয়। এই প্রতিযোগিতায় কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও অন্যান্য জেলা থেকে মোট ১১২ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। খুদে থেকে বড় সবাই এতে অংশ নেয়। প্রথম পুরস্কার থাকছে নগদ ৬০০০ টাকা ও ট্রফি, তৃতীয় পুরস্কার থাকছে চার হাজার টাকা ও ট্রফি, তৃতীয় পুরস্কার থাকছে তিন হাজার টাকা ও ট্রফি। মোট কুড়িজনকে পুরস্কৃত করা হবে। উদ্বৃত্ত টাকায় নিমপুরা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পুজোর জামাপ্যান্ট দেয়া হবে বলে জানান সম্পাদক সোহম পাল, সভাপতি বৈদিক হাজরা, প্রতিষ্ঠাতা সৈকত সিংহ ও প্রাঞ্জল দাসগুপ্ত সদস্য অমিত শর্মা। স্টেট অরবিটার ছিলেন কলকাতার অর্ক জিৎ পাল ও হীরক বোস। খেলা সহযোগিতায় ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাবা সংস্থা এবং সারা বাংলা দাবা সংস্থা।