নিজস্ব সংবাদদাতা : রবিবার বিকেলে তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার— উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি।ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা ও ময়নাগুড়ি এলাকার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান ও ধূপগুড়ি। অনেকেই আহত। ঘরদোর লন্ডভন্ড হয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু।রবিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাথাভাঙার ১ নম্বর ব্লকের শিকারপুর, কুর্শামারি, এলংমারি-সহ একাধিক এলাকা। জানা যায়, ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে ২০০ বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ভেঙেছে বহু গাছও।সোমবারও জলপাইগুড়িতে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুধু জলপাইগুড়িই নয়, উত্তরবঙ্গের আরও চার জেলা আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারেও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি শহরের গোসালা মোড়ে অনিমা রায় নামে এক মহিলা ঘূর্ণিঝড়ের বলি হয়েছেন। জলপাইগুড়ি পৌঁছে রাতেই তাঁর বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তার পর আহতদের দেখতে মৃতার বাড়ি থেকে সোজা জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন তিনি।