Skip to content

হঠাৎ লোডশেডিং,তারপরই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একের পর এক দোকান!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : লোডশেডিং তারপরই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একের পর এক দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে খোদ মেদিনীপুর শহরে। গোলকুঁয়াচকের কাছে অরোরা সিনেমার পাশে। যে এলাকাটি এবার কোতয়ালি থানা থেকেও বেশি দূরে নয়। অভিযোগ, ভাঙা হয়ে বুলডোজারে। কিন্তু কারা এভাবে ভাঙলো, কেনই ভাঙলো? তা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। প্রশ্ন উঠেছে, এই ধরণের ঘটনা ঘটলে তো গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। সবই চলবে গায়ের জোরেই। রাতের অন্ধকারে লোডশেডিংও নাকি করা হয়েছিল কৌশলে। তারপর ভাঙা হয় একটি ওস্তাগার, একটি ক্যাফে ও টেলার দোকানে। গভীর রাতে দুটি বুলডোজার দিয়ে ভাঙ্গা শুরু হয়। রাতেই সেই খবরও পৌঁছে যায় টেলার দোকানের মালিক কাঞ্চন সাউ ও অন্যদের কাছে। তাঁরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। জানান পুলিশকে। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ততক্ষণে অর্ধেক ভেঙ্গে দুটি বুলডোজার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি মেদিনীপুর পৌরসভা পুরপ্রধান সৌমেন খান সহ বিভিন্ন কাউন্সিলরা এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা যান ঘটনাস্থলে। বন্ধ হয়ে যাওয়া অরোরা সিনেমা সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৬৬ বছরের পুরনো এই দোকানগুলিতে কে বা কারা ভাঙচুর চালালো সেই প্রশ্নে তোলপাড় হয় শহর।ব্যবসায়ী কাঞ্চন সাউ বলেন, রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত ব্যবসা করার পর দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান তাঁরা। রাতে খবর পান লোডশেডিং করে এলাকায় চারটি দোকান দুটি বুলডোজার দিয়ে ভাঙ্গা শুরু করেছে। রাতে যখন পৌঁছান তখন তাকে বন্দুক দেখানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, "এই এলাকায় দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ১৯৫৮ সাল থেকে ব্যবসা করছি। দুটি টেলার একটি ক্যাফে এবং একটি ওস্তাগার রয়েছে। এই চারটি দোকান ভাঙচুর চালানো হয় রাত দুটো নাগাদ। জানতে পারি ৪০-৫০ জনের দুষ্কৃতী দল আগ্নেয়াস্ত্র সহ ভাঙচুর শুরু করেছে। দোকানের ভিতরে থাকা জিনিসপত্র লুট করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে পড়ায় পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।" ব্যবসায়ী সুশীল সিট জানিয়েছেন, "১৯৫৮ সাল থেকে তার একটি ওস্তাগার রয়েছে। লোডশেডিং করে দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।" আর এক ব্যবসায়ী সৌরভ সাউ বলেন, "২০১৩ সালে একবার বলতে এসেছিল দোকানঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কয়েক মাস আগে ভুয়ো ভূমি দপ্তরের অফিসের নাম করে এসেছিল কয়েকজন সেই ব্যাপারেও থানাতে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এলাকার চারটা দোকানঘর ভেঙ্গে দিয়েছে।" মেদিনীপুর পৌরসভা পুর প্রধান সৌমেন খান বলেন, "রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছিল দোকান ঘর গুলি। এই ঘটনার নিন্দা করছি। সাথে সাথে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। যে জেসিবি মেশিন দিয়ে ভাঙ্গা হয়েছে তাদের চিহ্নিতকরণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। আইন মাফিক দিনের বেলায় এসে কেন করল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

Latest